রাঙামাটিতে পাহাড় কাটায় হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০০:৪৭, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ০২:১৮, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
রাঙামাটিতে পাহাড় কাটায় হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা। ছবি: সংগৃহীত
রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) নির্মাণাধীন ভবনসহ রাঙামাটির যেকোনো এলাকায় পাহাড় কাটার ঘটনা যেন আর না ঘটে—সেজন্য মনিটরিং কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদনও জমা দিতে বলা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজি ও বিচারপতি রাজিউদ্দিন আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেয়।
এ রিটটি করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)।
রাঙামাটিতে পাহাড় কাটার বিষয়ে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার বিষয়ে জানতে চেয়ে চার সপ্তাহের রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে— পাহাড় কাটার ঘটনায় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, রাঙামাটিতে পাহাড় কাটা কেন বন্ধ করা হবে না, ইতোমধ্যে যে পাহাড় কাটা হয়েছে সেগুলো মাটি ভরাট করে পুনর্বাসনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না?
এ ছাড়া জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
রিটকারীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেওয়া এইচআরপিবির কৌঁসুলি মনজিল মোরসেদ বলেন, “আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পাহাড় কাটতে পারে না। কিন্তু রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই পাহাড় কেটে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে। প্রশাসনের সামনেই এসব হচ্ছে, অথচ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি—এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।”
রিটে বিবাদী করা হয়েছে—পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও পরিচালক, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পুলিশ সুপার ও ওসি, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
হাইকোর্টের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রশাসনকে এখনই সক্রিয় হয়ে রাঙামাটিতে সব ধরনের পাহাড় কাটার কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে।
