১৪ বার ব্যর্থতার পর সারোগেসিতে যমজ সন্তানের মা কাশমিরা শাহ
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫:৫২, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
বলিউড অভিনেত্রী কাশমিরা শাহ অবশেষে মা হয়েছেন—তাও আবার যমজ সন্তানের। কিন্তু এই আনন্দের পেছনে লুকিয়ে আছে দীর্ঘদিনের ব্যথা, অবসাদ আর শারীরিক যন্ত্রণার গল্প। জনপ্রিয় কমেডিয়ান ক্রুষ্ণা অভিষেকের স্ত্রী কাশমিরা শাহ অভিনয় ক্যারিয়ারে যেমন প্রশংসা পেয়েছেন, বাস্তব জীবনে মা হওয়ার পথটি ছিল অত্যন্ত কঠিন, মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার মতো।
২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পারিবারিক আয়োজনেই বিয়ে হয় কাশমিরা ও ক্রুষ্ণার। বিয়ের পরই শুরু হয় মাতৃত্বের প্রস্তুতি। কিন্তু বয়স ও শারীরিক জটিলতার কারণে স্বাভাবিকভাবে গর্ভধারণ সম্ভব হচ্ছিল না। এরপর শুরু আইভিএফ ট্রিটমেন্ট—আর সেখানেই ঘটে সবচেয়ে কঠিন অভিজ্ঞতা। অভিনেত্রী নিজেই জানান, ১৪ বার আইভিএফ করেও তিনি গর্ভধারণে ব্যর্থ হন। প্রতিবারই যেন হেরে যাওয়া, আবার নতুন করে লড়াই শুরু করা।
কাশমিরা বলেন, “আমি তিন বছর ধরে গর্ভবতী হওয়ার চেষ্টা করেছি। শরীরে এত ইনজেকশন নিয়েছি যে নিজেরই শরীরকে চিনতে পারতাম না। ওজন ২৪ ইঞ্চি থেকে ৩৪ ইঞ্চিতে চলে যায়। সারাক্ষণ খিটখিটে মেজাজ, ক্লান্তি, শরীর ভেঙে পড়া—সব মিলে জীবন যেন থমকে গিয়েছিল।”
এই সময়ে অনেকে তাকে নিয়ে কটাক্ষও করেন—দাবি করেন, নাকি ফিগার নষ্ট হওয়ার ভয়ে তিনি মা হতে চান না। কিন্তু বাস্তবতা ছিল ঠিক উল্টো। চিকিৎসকেরা সতর্ক করেছিলেন—অতিরিক্ত হরমোন ইনজেকশন শরীরের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে, স্বাস্থ্য দ্রুত খারাপের দিকে যাচ্ছে।
শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকদের পরামর্শে সারোগেসির পথ বেছে নেন তিনি। এই পথেই আসে জীবনের সেরা আনন্দ—একসঙ্গে যমজ সন্তানের মা হওয়ার সৌভাগ্য। বর্তমানে ক্রুষ্ণা ও দুই সন্তানকে নিয়ে অভিনেত্রী কাটাচ্ছেন সুখের সময়। অতীতের কষ্ট থাকলেও এখন তিনি মনে করেন, “মাতৃত্বের স্বপ্ন কখনও ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়।”
