বন্যপ্রাণী রক্ষায় নতুন প্রজন্মের অগ্রণী ভূমিকা অনস্বীকার্য: বন উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭:৫০, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৯:৩৪, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫
অনুষ্ঠানে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বিশেষ অবদানের জন্য কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: সমাজকাল।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বন্যপ্রাণী রক্ষায় নতুন প্রজন্মের অগ্রণী ভূমিকা আজ অনস্বীকার্য। বন্যপ্রাণী উদ্ধার, পরিচর্যা ও প্রকৃতিতে পুনর্বাসনে তরুণদের যে ইতিবাচক মনোভাব দেখা যাচ্ছে, তা দেশের জন্য অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তার মতে, বন্যপ্রাণী নিরাপত্তা ও সংরক্ষণে আগের তুলনায় সাধারণ মানুষের সচেতনতাও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
তরুণদের উদ্দেশ্যে বন উপদেষ্টা বলেন, বন্যপ্রাণী রক্ষায় একীভূত কণ্ঠস্বর অত্যন্ত প্রয়োজন। যারা বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল ধ্বংস করে অর্থনৈতিক যুক্তি তুলে ধরে জনসমর্থন নিতে চায়, তাদের প্রতিরোধে সচেতনতা, ভালোবাসা ও সঠিক তথ্য ছড়িয়ে দিতে হবে।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও বন ভবনে বন্যপ্রাণী, বন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
উপদেষ্টা বলেন, ‘মানুষ ও প্রকৃতি পাশাপাশি টিকিয়ে রাখার নৈতিক মূল্যবোধ সামনে রেখে কাজ করতে হবে। আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ জীবজগতের প্রতি সহমর্মিতা ও সংরক্ষণশীল আচরণের শিক্ষা দেয়। অসহায় মানুষ ও অসহায় প্রাণীর পাশে দাঁড়ানোই প্রকৃত মানবিকতা’।
সভায় আগামী বছর ৬৪ জেলায় ৬৪ জন বন্যপ্রাণী কর্মীকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা। তিনি জানান, বন্যপ্রাণী অপরাধ মোকাবিলায় নতুন ইউনিট গঠনের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি চলমান উদ্ধার কার্যক্রমে আধুনিক সরঞ্জাম ও পরিবহন সহায়তা নিশ্চিতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এসবের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম আরও উৎসাহিত হবে এবং প্রতিটি জেলায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে একজন প্রতিনিধিত্বশীল কর্মী সামনে আসবেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির মহাপরিচালক ড. মো. ছগীর আহমেদ, জীববৈচিত্র্য বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ আলী রেজা খান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি ও এ্যানিমেল সায়েন্সেস অনুষদের প্রতিষ্ঠাতা ডিন ড. মো. জালাল উদ্দিন সরদার এবং বিবিসিএফের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মোল্যা রেজাউল করিম।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বিশেষ অবদানের জন্য ড. মোহাম্মদ আলী রেজা খানসহ কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়।
এর আগে বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘরে বাংলাদেশ এনার্জি কনফারেন্স ২০২৫–এর উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন বন উপদেষ্টা।
সেখানে তিনি সরকারি ভবনে কার্যকর রুফটপ সোলার স্থাপন এবং পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন করে উন্নয়ন পরিকল্পনা ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামতে স্বচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
