ঐশ্বর্যের স্মৃতিতে ভেঙে পড়েছিলেন সলমন
‘তেরে নাম’-এর শুটিংয়েই কাঁদতেন বারবার
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪:৫৯, ১ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১৫:১২, ১ অক্টোবর ২০২৫
 
						
									বলিউডের ইতিহাসে প্রেম-বিচ্ছেদের অন্যতম আলোচিত অধ্যায় সলমন খান ও ঐশ্বর্য রাইয়ের সম্পর্ক। ১৯৯৯ সালে সঞ্জয় লীলা বনশালির হম দিল দে চুকে সনম ছবির শুটিং সেটে শুরু হয় তাঁদের প্রেম। অন-স্ক্রিন কেমিস্ট্রি দ্রুতই গড়িয়ে পড়ে অফ-স্ক্রিন রোম্যান্সে, আর তাঁরা হয়ে ওঠেন ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে গ্ল্যামারাস জুটি। কিন্তু ২০০২ সালে হঠাৎ ভেঙে যায় সেই সম্পর্ক, যা ভক্তদের মনে গভীর দাগ কাটে।
এক বছর পর, ২০০৩ সালে পরিচালক সতীশ কৌশিকের ছবি তেরে নাম-এ সলমন অভিনয় করেন ভাঙা হৃদয়ের এক আবেগপ্রবণ প্রেমিকের চরিত্রে। সম্প্রতি ছবিটির টাইটেল ট্র্যাকের গীতিকার সমীর আঞ্জান জানিয়েছেন, শুটিংয়ের সময় সলমনের ব্যক্তিগত জীবনের ক্ষত তাঁর অভিনয়ে প্রবলভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল।
সমীর আঞ্জান জানান, তেরে নাম-এর গান মূলত সলমনকে মাথায় রেখে লেখা হয়নি। কিন্তু ঐশ্বর্য রাইয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের কষ্টে গানটি তাঁর জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। প্রতিটি শট দেওয়ার আগে সলমন সঙ্গীত পরিচালক হিমেশ রেশমিয়ার কাছে গানটি গাওয়ার অনুরোধ করতেন। গান শুনেই তিনি হাউহাউ করে কেঁদে ফেলতেন, তারপর চোখের জল মুছে শুটিং চালিয়ে যেতেন।
বিশেষ করে গানটির লাইন— “কিউঁ কিসি কো ওয়াফা কে বদলে ওয়াফা নাহি মিলতি”— যেন সরাসরি সলমনের ব্যক্তিগত যন্ত্রণা প্রকাশ করত। বিচ্ছেদের সেই ক্ষত তখনও একেবারে টাটকা, তাই তাঁর কান্না যেন পর্দার আবেগকেও বাস্তব করে তুলেছিল।
দর্শকের কাছে তেরে নাম নিছক এক মেলোড্রামাটিক প্রেমকাহিনি মনে হলেও আসলে এটি ছিল সলমনের জীবনের প্রতিচ্ছবি। তাঁর ব্যক্তিগত দুঃখ, প্রেম হারানোর যন্ত্রণা আর অশ্রু অভিনয়ের সঙ্গে মিশে গিয়ে ছবিটিকে এক অমর আবেগের ছাপ দিয়েছে।
ঐশ্বর্য–সলমন সম্পর্ক বলিউডের অন্যতম আলোচিত অধ্যায় হয়েই রয়ে গেছে। বিচ্ছেদের পর সলমন এখনও অবিবাহিত, অন্যদিকে ঐশ্বর্য ২০০৭ সালে অভিষেক বচ্চনকে বিয়ে করেন এবং তাঁদের কন্যা আরাধ্যাকে নিয়ে সুখের সংসার গড়ে তুলেছেন।
অন্যদিকে, সমীর আঞ্জান বলিউডে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ৫০০-রও বেশি ছবির জন্য চার হাজারেরও বেশি গান লিখেছেন। তবু তেরে নাম-এর শুটিংয়ের এই ঘটনা প্রমাণ করে, কিছু গান নিছক সুর বা কথা নয়—বরং এক শিল্পীর ব্যক্তিগত ক্ষত-বেদনাই হয়ে ওঠে অমর সৃষ্টির প্রেরণা।

 
													 
													 
													 
													 
													 
													 
													 
													 
													