প্রাথমিকের সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক পদ বাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭:০৪, ৩ নভেম্বর ২০২৫
ছবি: সমাজকাল
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত শিক্ষক ও শরীরচর্চা শিক্ষক পদ বাতিল করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলোর তীব্র সমালোচনা ও আপত্তির মুখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
রবিবার (৩ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত সংশোধিত ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০২৫’ গেজেট প্রকাশ করা হয়। গেজেটে দেখা গেছে, আগের চার ক্যাটাগরির বদলে এখন রাখা হয়েছে মাত্র দুটি।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয় অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান জানান, `সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের পদ দুটি নতুন বিধিমালায় নেই। গত আগস্টে জারি করা বিধিমালা সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।‘
তবে ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলোর চাপের কারণেই পদ দুটি বাতিল করা হয়েছে কি না—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এই অতিরিক্ত সচিব আরও জানান, নতুন বিধিমালায় ‘বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে অন্যূন স্নাতক ডিগ্রিধারী’ শব্দবন্ধ যুক্ত করা হয়েছে। পূর্বের বিধিমালায় কেবল ‘অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী’ বলা থাকায় ভুল ব্যাখ্যার সুযোগ তৈরি হয়েছিল।
তিনি বলেন, `আসলে কোটার বাইরের ৮০ শতাংশ পদে বিজ্ঞান বা অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পেতে পারেন। তাই আমরা শব্দগত এই সংশোধন এনেছি।‘
এর আগে গত আগস্টে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর থেকেই একাধিক ধর্মীয় সংগঠন প্রতিবাদ জানায়।
৬ সেপ্টেম্বর হেফাজতে ইসলাম এই পদ সৃষ্টিকে ‘ইসলামবিরোধী এজেন্ডা’ আখ্যা দিয়ে সংশ্লিষ্ট বিধিমালা বাতিলের দাবি জানায়।
পরবর্তীতে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন—এই পাঁচটি সংগঠনও এক সেমিনারে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের কঠোর সমালোচনা করে।
এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম ১৬ সেপ্টেম্বর প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানান।
এসব সংগঠনের ধারাবাহিক চাপ ও বিতর্কের মুখে পদ দুটি বাদ দেওয়ার ঘটনা ঘটলো।
