মনোনয়ন না পেয়ে সীতাকুণ্ডে মহাসড়ক অবরোধ
আসলাম চৌধুরীর চার অনুসারী বহিষ্কার
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ১৮:২৭, ৪ নভেম্বর ২০২৫
ছবি: সমাজকাল
চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে বিএনপির মনোনয়নকে কেন্দ্র করে মহাসড়ক অবরোধ ও সহিংসতার ঘটনায় বিএনপির চার নেতাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় দপ্তর। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয় মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে।
বহিষ্কৃতরা হলেন— আলাউদ্দিন মনি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সীতাকুণ্ড উপজেলা সভাপতি; হেলাল উদ্দিন বাবর, সাধারণ সম্পাদক; মামুন, সীতাকুণ্ড পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ও মমিন উদ্দিন মিন্টু, সোনাইছড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার রাতে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের কদমরসুল, ভাটিয়ারী বাজার ও জলিল গেইট এলাকায় সহিংসতা, হানাহানি ও রাস্তায় অবরোধসহ জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের দল থেকে প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘দলের অভ্যন্তরে কাউন্সেলিং ও বৈঠক তিন মাস ধরে চলেছে। তারেক রহমান নিজে চূড়ান্ত কাউন্সেলিং সম্পন্ন করেছেন। এরপরও কেউ বিশৃঙ্খলায় জড়ালে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাবেক আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরীর জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, ‘সোমবারের অবরোধ আসলাম চৌধুরীর কোনো নির্দেশে হয়নি। স্থানীয় লোকজনের আবেগ ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে তারা রাস্তায় নেমেছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার পরপরই আসলাম চৌধুরী নিজেই নির্দেশ দিয়েছেন যেন অবরোধ তুলে নিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।’
সোমবার রাত সোয়া ১১টার দিকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে জানান কুমিরা হাইওয়ে থানার ওসি জাকির রব্বানী।
এর আগে সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭ আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
এর মধ্যে সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম-৪) আসনে দলীয় মনোনয়ন পান চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী সালাউদ্দীন।
২০১৮ সালের নির্বাচনে এই আসনে প্রার্থী ছিলেন আসলাম চৌধুরী, তবে তখন তিনি কারাগারে ছিলেন।
২০১৬ সালে আসলাম চৌধুরীর সঙ্গে ইসরায়েলের লিকুদ পার্টির সদস্য মেন্দি এন সাফাদির একটি ছবি প্রকাশের পর তাকে ‘সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রে জড়িত’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া আসলাম চৌধুরীর ‘দল থেকে পদত্যাগের’ ফটোকার্ডকে ‘মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছে তার জনসংযোগ শাখা।
এক বিবৃতিতে বলা হয়— ‘একটি কুচক্রী মহল বিভ্রান্তি ছড়াতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। জনগণকে বিভ্রান্ত না হয়ে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন আসলাম চৌধুরী এফসিএ।’
