ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুলিবিদ্ধ শিপন মারা গেছেন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:৪৪, ২ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৩:২৮, ২ নভেম্বর ২০২৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ শিপন মিয়া (৩০) মারা গেছেন।
শনিবার রাতের এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক শিপনকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের নুরজাহানপুর গ্রামের মনেক মিয়ার ছেলে।
স্বজনদের বরাতে জানা গেছে, শিপন স্থানীয়ভাবে বালুর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শিপন ও রিফাত বাহিনীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। শনিবার রাতে শিপন বড়িকান্দি গণিশাহ মাজারের পাশের একটি হোটেলে খেতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে শিপন গুরুতর আহত হন এবং রেস্টুরেন্টের এক কর্মচারীসহ আরও দু’জন গুলিবিদ্ধ হন।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। শিপনকে ঢাকায় নেওয়া হলে সকালে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুজনকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, শিপনকে গুলি করার খবর গ্রামে পৌঁছালে তার বাবা মনেক মিয়ার নেতৃত্বে ক্ষুব্ধ লোকজন সশস্ত্র অবস্থায় গণিশাহ মাজার সংলগ্ন তালতলা গ্রামে গিয়ে প্রতিপক্ষ এমরান হোসেন মাস্টারের অফিসে হামলা চালায়। এতে এমরান মাস্টার (৩৮) গুলিবিদ্ধ হন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনুর ইসলাম সমাজকালকে জানান, খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
দীর্ঘদিন ধরে শিপন ও রিফাত গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার এবং ডাকাতির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধ চলছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
