প্রার্থীর নির্বাচনী খরচ সরকার বহন করলে কালো টাকার দৌরাত্ম্য কমবে
ঝালকাঠি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩:০১, ২ নভেম্বর ২০২৫
ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। ছবি: এবি পার্টি
এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, `দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত না হলে উচ্চকক্ষ যুক্ত করে কোনো লাভ হবে না, বরং তা দুর্নীতির নতুন পথ খুলে দেবে।‘
আজ রবিবার ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অংশ নেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ৩০০ আসনের এককক্ষ বিশিষ্ট সংসদই যথাযথভাবে পরিচালিত হচ্ছে না, সেখানে আরও ১০০ আসন যোগ হলে সংসদ ব্যবসায়িক লেনদেনের হাতিয়ারে পরিণত হবে।
নির্বাচনী আচরণবিধি প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, `আমাদের দেশে সৎ মানুষ রাজনীতিতে আসে না, কারণ তাদের কালো টাকা নেই। ভোটারদেরও অনৈতিক সুবিধা না নিতে শিখতে হবে।
চায়ের দোকানে কারও কাছ থেকে কিছু খেলে বা সুবিধা নিলে তারা নিজেরাই সৎ রাজনীতিকে বাধাগ্রস্ত করছে।‘
তিনি অভিযোগ করেন, বাস্তবে একটি সংসদীয় আসনে নির্বাচনের দিনেই প্রায় এক কোটি টাকার বেশি খরচ হয়, অথচ নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের জন্য ২৫ লাখ টাকার সীমা নির্ধারণ করেছে। এ প্রেক্ষাপটে তিনি প্রস্তাব দেন, `রাষ্ট্র যখন কোটি কোটি টাকা অন্য খাতে খরচ করতে পারে, তখন গণতন্ত্র রক্ষার জন্য নির্বাচনে খরচ করতেও পারে। তাই রাষ্ট্রকেই নির্বাচনের ব্যয় বহন করা উচিত।‘
আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, `দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর হিটলারের নাৎসিকে কেউ প্রশ্ন করেনি তারা থাকবে কি থাকবে না, অথচ আওয়ামী লীগ নির্বিচারে হত্যা, গুম, গণহত্যা করেও এখনও টিকে আছে। তারা কোনো রাজনৈতিক দলের সংজ্ঞায় পড়ে না। তারা দেশের সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করেছে, বিচারব্যবস্থা ও আইনশৃঙ্খলা দুর্বল করেছে।‘
সভায় এবি পার্টির ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী শেখ জামাল হোসেনকে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন তিনি। পাশাপাশি ঝালকাঠির শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নদীভাঙন রোধে সরকারের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ফুয়াদ।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সহকারী প্রচার সম্পাদক রিপন মাহমুদ, ঝালকাঠি জেলার আহ্বায়ক জামাল হাওলাদার, সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম, বরিশাল জেলার সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জিএম রাব্বী, যুগ্ম আহ্বায়ক সুজন তালুকদার, যুগ্ম সদস্য সচিব ডাক্তার তানভীর আহমেদ, রায়হান উদ্দিনসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
