মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে প্রধান শিক্ষক আটক
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯:৩৫, ১৩ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১২:৪৫, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে আবাসিক মাদ্রাসার ১৪ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে আটক করেছে স্থানীয়রা। রবিবার (১২ অক্টোবর) গভীর রাতে থানাহাট ইউনিয়নের মধ্য প্রামাণিকপাড়া এলাকায় ওই শিক্ষককে একটি মক্তবে আটকে রাখা হয়।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের নাম রিয়াজুল ইসলাম। তিনি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। বিবাহিত এই শিক্ষক থানাহাট ইউনিয়নের একটি আবাসিক কওমি মাদ্রাসায় সস্ত্রীক বসবাস করতেন। অভিযোগ উঠেছে, কয়েক দিন আগে স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে মাদ্রাসার এক আবাসিক ছাত্রীকে তিনি ধর্ষণের চেষ্টা করেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর এক আত্মীয় জানান, প্রায় এক সপ্তাহ আগে রাতে শিক্ষক রিয়াজুল ইসলাম ছাত্রীটিকে নিজের কক্ষে ডেকে নেন। পরে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। ছাত্রী বাধা দিলে তার বুক ও মাথায় আঘাত করেন তিনি। এতে ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং বাড়ি ফিরে ঘটনাটি পরিবারের সদস্যদের জানায়।
ঘটনার পর রবিবার রাতে ছাত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে থানাহাট ইউনিয়নের মধ্য প্রামাণিকপাড়ার একটি মক্তবে নিয়ে যান। সেখানে তাকে মারধর করা হয়। এ সময় তিনি ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার কথা স্বীকার করেন বলে জানা গেছে। তার স্বীকারোক্তির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
মধ্যরাতে সর্বশেষ পাওয়া তথ্যে জানা যায়, স্থানীয়রা তখনও শিক্ষক রিয়াজুল ইসলামকে আটক রেখেছিল এবং বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা চলছিল।
চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।