রাবি ছাত্রলীগকর্মী ফারুক হত্যা মামলায় সব আসামি খালাস
রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮:০৫, ১২ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২১:৫৭, ১২ অক্টোবর ২০২৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রলীগকর্মী ফারুক হোসেন হত্যা মামলায় সব আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। রবিবার (১২ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ২টার দিকে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক জুলফিকার উল্লাহ চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আলী আশরাফ মাসুম জানান, সাক্ষ্য-প্রমাণে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত সবাইকে খালাস দিয়েছেন।
মামলার ১১৪ আসামির মধ্যে ৯ জন ইতিমধ্যে মারা গেছেন। জীবিত আছেন ১০৫ জন। রায় ঘোষণার সময় ২৫ জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন, বাকিরা অনুপস্থিত ছিলেন।
২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হল এলাকায় ছাত্রলীগ (বর্তমানে নিষিদ্ধ) ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগকর্মী ফারুক হোসেন নিহত হন। পরদিন তার মরদেহ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম অপু বাদী হয়ে মতিহার থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় জামায়াত-শিবিরের ৩৫ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাত আরও ২০–২৫ জনকে আসামি করা হয়।
দীর্ঘ তদন্তের পর ২০১২ সালের ২৮ জুলাই পুলিশ আদালতে ১২৬৯ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দাখিল করে। তাতে জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন কেন্দ্রীয় আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, রাজশাহী মহানগরের তৎকালীন আমির আতাউর রহমান, রাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি শামসুল আলম গোলাপ, সম্পাদক মোবারক হোসেন, নবাব আব্দুল লতিফ হলের সভাপতি হাসমত আলী এবং শহীদ হবিবুর রহমান হলের সভাপতি রাইজুল ইসলামসহ ১১৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর বিচারপ্রক্রিয়া শেষে অবশেষে আজ এই মামলার রায় ঘোষণা হলো।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আলী আশরাফ মাসুম বলেন, ‘রায়ে খুশি-অখুশি এখনই বলা যাবে না। আগে রায়টি হাতে পেয়ে বিস্তারিত দেখি, তারপর মন্তব্য করবো। তবে মামলাটি করার সময় প্রকৃত আসামিদের আড়াল করে রাজনৈতিক কারণে অন্যদের আসামি করা হয়েছিল।‘