সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে পা হারালেন বিজিবির নায়েক
উখিয়া-টেকনাফ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬:২৬, ১২ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১৬:৩৯, ১২ অক্টোবর ২০২৫

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নায়েক মো. আক্তার হোসেনের এক পা বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং অপর পা-টিও প্রায় বিচ্ছিন্ন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বর্তমানে তিনি বাজারের রামু সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রবিবার (১২ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার নাইক্ষ্যংছড়ির ৪১ নম্বর পিলারের কাছাকাছি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত বিজিবি সদস্যের নাম নায়েক আকতার হোসেন (আইডি নং ৬২১২৬)। তিনি ৩৪ বিজিবি’র রেজু আমতলী বিওপি-তে কর্মরত ছিলেন।
জানা যায়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিজিবির প্রস্তাবিত একটি অস্থায়ী চৌকিতে টহলরত অবস্থায় আকস্মিক মাইন বিস্ফোরণে তিনি গুরুতরভাবে আহত হন। বিস্ফোরণের ফলে তার ডান পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং বাম পা-তেও মারাত্মক জখম হয়।তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজারের রামু সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিজিবির কক্সবাজারস্থ ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম জানিয়েছেন, রবিবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু এলাকায় বিজিবি'র টহল পরিচালনাকালে এ ঘটনা ঘটে ।
তিনি জানান, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু এলাকায় বিজিবি'র টহল পরিচালনা করার সময় ৩৪ বিজিবির সদস্য নায়েক মো. আক্তার হোসেন মাইন বিস্ফোরণে আহত হয়। বর্তমানে আহত বিজিবি সদস্যকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রামু সিএমএইচ এ ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় এবং বিজিবি সূত্র জানিয়েছে, দুর্গম পাহাড় আর গভীর অরণ্যে ঘেরা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে অসংখ্য স্থলমাইন পুঁতে রেখেছে মিয়ানমার। ফলে প্রায় সময় ওই এলাকায় মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সীমান্ত এলাকায় ২০২৩ থেকে ২০২৫ পর্যস্ত স্থল মাইন বিস্ফোরণে ১৬ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে ৩ জন, ২০২৪ সালে ৩ জন এবং ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত ১০ জন আহত হয়েছেন। সর্বশেষ রবিবার বিজিবি সদস্য পা হারালেন।