যশোরে দৃশ্যমান ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিসৌধ’
যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪:০১, ১২ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১৪:৩৮, ১২ অক্টোবর ২০২৫

যশোর শহরের বকুলতলায় অবশেষে দৃশ্যমান হয়েছে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিসৌধ’। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) লোহার পাত দিয়ে তৈরি এই স্মৃতিসৌধের কাঠামো স্থাপন করা হয়। শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে রঙ ও বৈদ্যুতিক সংযোগের কাজ।
যশোর গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হক জানিয়েছেন, দুয়েকদিনের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই স্মৃতিসৌধ নির্মাণে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত বিভাগ যৌথভাবে কাজ করছে। প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৪ লাখ টাকা। স্মৃতিসৌধটির উচ্চতা ১৮ ফুট এবং ব্যাস ৬ ফুট। এটি লোহার মোটা শিট দিয়ে তৈরি গোলাকার কাঠামো, যার ওপর সিএনসি প্রযুক্তিতে খোদাই করা হয়েছে ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই আন্দোলনের সময় জনতার মুখে মুখে উচ্চারিত স্লোগানগুলো। এসব স্লোগানে ফুটে উঠেছে জনগণের প্রতিবাদ, সাহস ও প্রতিরোধের ভাষা—যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আন্দোলনের শক্তি স্মরণ করিয়ে দেবে।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে গণঅভ্যুত্থানের সময় দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো যশোরেও তীব্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। সেসময় শহরের বকুলতলায় শেখ মুজিবুর রহমানের বিশাল ম্যুরালটি ভেঙে ফেলে বিক্ষুব্ধ জনতা। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়তেই ম্যুরালটির অবশিষ্ট অংশও ভাঙচুর করা হয়। এরপর ধ্বংসাবশেষ পরিস্কার করে এখানেই স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিসৌধ’।
১৪ জুলাই বেলা ১১টায় যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে স্মৃতিসৌধ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।
যশোর পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, স্মৃতিসৌধ এলাকার পাশের প্রাচীর ভেঙে রাস্তার সঙ্গে সংযুক্ত করার কাজ চলছে। এটি বকুলতলা এলাকার দীর্ঘদিনের যানজট নিরসনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
পৌরসভার প্রকৌশলী বিএম কামাল হোসেন জানিয়েছেন, বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর পর রাস্তার সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করা হবে; ইতোমধ্যে ইটের খোয়া ফেলার কাজ শেষ হয়েছে।