ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে বাস চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০:৩২, ১২ অক্টোবর ২০২৫

ময়মনসিংহে জাতীয় নাগরিক পার্টি ও পরিবহন শ্রমিক পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে জেলা মোটরযান মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল স্থগিত করেছে, যা পরিবহন মালিক-শ্রমিক ফেডারেশনের নির্দেশনায় কার্যকর হয়েছে।
রবিবার (১২ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে ময়মনসিংহের কোনো বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকা যাওয়ার কোনো বাস ছাড়েনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাতে হালুয়াঘাটের জুলাই যোদ্ধা আবু রায়হান বাসে উঠার সময় পরিবহন শ্রমিক অরুণ ঝন্টুর সঙ্গে ধাক্কামার ঘটনা ঘটে। রায়হান নিজেকে জুলাই যোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিলে ও বারবার দুঃখ প্রকাশ করলেও অরুণ ঝন্টু তার প্রতি অশালীন আচরণ করে বাস থেকে নামিয়ে দেন।
ঘটনার পর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা শনিবার (১১ অক্টোবর) রাত ৯টা থেকে ময়মনসিংহ নগরীর মাসকান্দা এলাকার ইউনাইটেড সার্ভিস বাস কাউন্টারের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে পুলিশ অরুণ ঝন্টুকে আটক করে।
এর প্রভাব পড়তে শুরু করে শনিবার সকাল ১১টা থেকে। পরিবহন শ্রমিকরা শহরের বাইপাস সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে বসেন। এতে ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, শেরপুর ও জামালপুর থেকে ঢাকাগামী সব বাস আটকা পড়ে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ সাগর হত্যা মামলার আসামি ও আওয়ামী লীগের জেলা সহসভাপতি আমিনুল হক শামীমকে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং তার মালিকানাধীন ইউনাইটেড সার্ভিসের সব বাস চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। এই সার্ভিসে শামীমের মালিকানাধীন ১৬টি বাস রয়েছে। অপরদিকে পরিবহন শ্রমিকরা আটককৃত শ্রমিকের মুক্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ছাত্র নেতারা ও পরিবহন শ্রমিক নেতাদের মধ্যে আলোচনা হয়। আলোচনার ফলে সিদ্ধান্ত হয়, আমিনুল হক শামীমের ১৬টি বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। এ সিদ্ধান্তের পর ছাত্র আন্দোলনকারীরা অবস্থান ত্যাগ করেন এবং শ্রমিকরাও বাইপাস অবরোধ তুলে নেন।
ময়মনসিংহ জেলা মোটর মালিক সমিতির মহাসচিব আব্দুর রব আকন্দ রতন বলেন, ফেডারেশনের নির্দেশনায় সাময়িকভাবে বাস চলাচল স্থগিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এখনো আলোচনা চলছে।