নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপি’র মনোনয়নপ্রত্যাশী খন্দকার মিজান
‘উন্নয়নে জীবন উৎসর্গ করবো’
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১:৫৯, ১১ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১২:০১, ১১ অক্টোবর ২০২৫

রাজধানী-লগোয়া শিল্প ও বন্দরনগরী নারায়ণগঞ্জে জাতীয় নির্বাচনের আগাম প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের পদচারণায় সরগরম শহর ও গ্রামাঞ্চল। নানা প্রতিশ্রুতি, উন্নয়নের আশ্বাস আর গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন নেতারা।
এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার অন্যতম মুখ খন্দকার মিজানুর রহমান— নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা) আসনে বিএনপি’র সম্ভাব্য প্রার্থী। তিনি দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত ছিলেন এবং পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির রাজনীতিক হিসেবে এলাকায় সুপরিচিত। বর্তমানে তিনি জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস)-এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি এবং আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি পরিষদ-এর উপদেষ্টা। এছাড়া বিবিসিসহ বেশ কয়েকটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও কাজ করেছেন।
১৭ দফা ইশতেহার: উন্নয়ন, কর্মসংস্থান ও নারীর ক্ষমতায়ন
খন্দকার মিজান নিজের নির্বাচনী পরিকল্পনায় ১৭ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
ডিএনডি বাঁধের জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণ,আলীরটেক, গোগনগর ও বক্তাবলীতে ২৫ শয্যার হাসপাতাল স্থাপন,আরাফাত রহমান কোকো মেমোরিয়াল হসপিটাল নির্মাণ,প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা,পলিটেকনিক কলেজ, কারিগরি ও আইটি ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন ও পূর্ণাঙ্গ হৃদরোগ হাসপাতাল।
আরও রয়েছে নারীদের জন্য বিশেষ কর্মসংস্থান প্রকল্প ও উদ্যোক্তা সহায়তা,নারীর নিরাপত্তা ও সহিংসতা প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা,সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদকবিরোধী জিরো টলারেন্স নীতি।
তিনি বলেন, `দলীয় মনোনয়ন পেলে জনগণের ভালোবাসায় নির্বাচিত হয়ে ফতুল্লাবাসীর উন্নয়নে জীবন উৎসর্গ করবো।‘
খন্দকার মিজান উল্লেখ করেন, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় যে ৩১ দফা দাবি উত্থাপন করেছেন—
তার মধ্যে রয়েছে সংবিধান সংস্কার, জাতীয় সমন্বয় কমিশন গঠন, এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃচালু করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন। তার ভাষায়, `এই দাবিগুলোই দেশকে স্বৈরাচারী শাসন থেকে মুক্ত করবে। তাই সবার মধ্যে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া এখন সময়ের দাবি।
নিজের রাজনৈতিক পথচলার ঝুঁকির প্রসঙ্গ টেনে মিজান বলেন, `সততা ও আদর্শের পথে হাঁটতে গিয়ে আমাকে মূল্য দিতে হয়েছে। শীর্ষ প্রশাসনের হুমকির মুখে দুই বছর দেশে ফিরতে পারিনি; সেই সময়ে আমার মাকে হারিয়েছি— কেবল বিচারপতি এস কে সিনহার সাক্ষাৎকার নেওয়ার কারণেই।‘
তিনি আরও বলেন, `যারা উচ্চশিক্ষিত, ভদ্র, মার্জিত ও সংগঠনের নীতি-শৃঙ্খলাপরায়ণ, তাদের প্রতি আহ্বান— আসুন আমরা সবাই তারেক রহমানের নেতৃত্বে ক্লিন ইমেজধারী একটি নতুন প্রজন্ম গঠনে একসঙ্গে কাজ করি।