নওগাঁর তিন উপজেলায় মিলল ৩ জনের মরদেহ
নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩:১৪, ৯ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২৩:২৭, ৯ অক্টোবর ২০২৫

নওগাঁর তিন উপজেলা থেকে তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে রানীনগর, সাপাহার ও পোরশা উপজেলায় এসব মরদেহ পাওয়া যায়। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন এক যুবক, এক বৃদ্ধ ও এক শিশুশিক্ষার্থী।
নিহতরা হলেন—রানীনগর উপজেলার পারইল গ্রামের মোখলেছার রহমানের ছেলে মেহেদী (২৯), সাপাহারের পিছলডাঙ্গা গ্রামের মৃত আজির উদ্দিনের ছেলে নুরুল ইসলাম (৭৩) এবং পোরশা উপজেলার চক্করতলী গ্রামের আশরাফুলের মেয়ে সুমাইয়া (৯)।
রানীনগরে গাছে ঝুলন্ত যুবকের মরদেহ
রানীনগরের মেহেদীর ভগ্নিপতি কামাল হোসেন জানান, কিছুদিন ধরে মেহেদী ও তার স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলছিল। বুধবার রাতে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর মেহেদী ঘরে ঘুমাতে যান। সকালে পুকুরপাড়ের আমগাছে গলায় রশি দেওয়া অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।
রানীনগর থানার ওসি (তদন্ত) বাবলু বলেন, `ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।‘
সাপাহারে খালে ভাসমান বৃদ্ধের হাত-পা বাঁধা মরদেহ
সাপাহার উপজেলার পিছলডাঙ্গা (মলপাড়া) গ্রামের একটি খাল থেকে ভাসমান অবস্থায় বৃদ্ধ নুরুল ইসলামের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবার জানায়, বুধবার ফজরের নামাজ পড়তে বের হয়ে নিখোঁজ হন তিনি। একদিন পর ভোরে স্থানীয়রা তার দেহ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান।
সাপাহার থানার ওসি আব্দুল আজিজ বলেন, `প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার পর মরদেহ পানিতে ফেলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।‘
পোরশায় আম বাগানে শিশুর মরদেহ
পোরশার আমবাগান এলাকা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ৯ বছর বয়সী এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ওসি মিন্টু রহমান বলেন, `মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।‘
এক দিনে তিন উপজেলায় তিন জনের মরদেহ উদ্ধারে নওগাঁ জেলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা ঘটনাগুলোকে রহস্যজনক হিসেবে দেখছেন এবং দ্রুত তদন্তে সুষ্ঠু ফলাফলের দাবি জানিয়েছেন।