ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে বিবৃতি
খাগড়াছড়ির সংঘাতে দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি বাম জোটের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২:০১, ৯ অক্টোবর ২০২৫

খাগড়াছড়িতে সাম্প্রতিক সংঘাতের ঘটনায় দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার এবং আহতদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট, বাংলাদেশ জাসদ, জাতীয় গণফ্রন্ট ও গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে এসব দাবি জানানো হয়।
বাম জোটের কেন্দ্রীয় নেতারা সকালে খাগড়াছড়ির সিঙ্গিনালা (মগপাড়া), স্বনির্ভর বাজার, গুইমারার চেঙ্গুলিয়া এবং রামুসে বাজার এলাকা পরিদর্শন করেন। তারা ধর্ষণের শিকার এক কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চান।
পরে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন এবং সরকারের লিগ্যাল এইড কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ধর্ষণ ও হামলার নিরপেক্ষ তদন্ত, দোষীদের শাস্তি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন বিষয়ে দাবি তোলেন নেতারা।
বিকেলে প্রতিনিধিদল আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকানপাট ও ঘরবাড়ি ঘুরে দেখে স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক বজলুর রশীদ। এ সময় সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী (ক্বাফী রতন), বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, কমিউনিস্ট লীগের নেতা নজরুল ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক পার্টির নেতা আবদুল আলী, জাতীয় গণফ্রন্টের নেতা রজত হুদা ও কামরুজ্জামান ফিরোজ, গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির নেতা হারুন অর রশীদ, মার্জিয়া প্রভা, সত্যজিৎ বিশ্বাস ও সাঈদুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শন শেষে দেওয়া বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ‘মারমা কিশোরীর ধর্ষক ও হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার করতে হবে। নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।‘
তারা আরো অভিযোগ করেন, ধর্ষণের শিকার কিশোরীর হাসপাতালের ছাড়পত্র কেড়ে নেওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। এই নথি দ্রুত ভুক্তভোগীর পরিবারকে ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানান তাঁরা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, `দেড় থেকে দুই হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নামে মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানো হচ্ছে। কোনো নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে প্রশাসনকে দায়িত্বশীল হতে হবে।‘
বাম সংগঠনগুলোর নেতারা পাহাড়ে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং পাহাড়ি-বাঙালি নাগরিকদের সংযম ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখার আহ্বান জানান।