চাঁদাবাজির মামলায় ইউপিডিএফ নেতা মাইকেল চাকমার ৮ বছর কারাদণ্ড
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১:৩৪, ৯ অক্টোবর ২০২৫

রাঙামাটি জেলার বহুল আলোচিত চাঁদাবাজির মামলায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ-প্রসীত গ্রুপ) নেতা মাইকেল চাকমাকে আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তাওহিদুল হক আসামির অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন এবং বৃহস্পতিবার রায়টি প্রকাশ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতে রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পেশকার প্রসাদেব চাকমা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বুধবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তাওহিদুল হক আসামির অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন এবং বৃহস্পতিবার রায়টি প্রকাশ করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দণ্ডবিধির ১৮৬০ সালের ৩৮৫ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে মাইকেল চাকমা ও সুমন চাকমা নামে দুইজনকে একই দণ্ডে—আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
২০০৭ সালের ৩০ অক্টোবর সংঘটিত চাঁদাবাজির ঘটনায় লংগদু থানায় মামলা করা হয় (মামলা নং ৫, জি আর নং ৩৩০/২০০৭)। ওই দিন সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি কর্মকাণ্ডের সময় নিরাপত্তা বাহিনী মাইকেল চাকমা ও সুমন চাকমাকে অস্ত্র ও নগদ অর্থসহ আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছিল।
দীর্ঘ ১৮ বছরের বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত অবশেষে রায় ঘোষণা করে। এর আগে, ২০২৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ একই আসামির বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং চাঁদাবাজি ও হত্যার হুমকির অভিযোগে আরও ৭ বছরের দণ্ড দেন। আদালত নির্দেশ দেন, উভয় সাজা একত্রে চলবে।
অপর আসামি সুমন চাকমাকেও চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এই রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে পার্বত্য অঞ্চলে ইউপিডিএফ সংশ্লিষ্ট দীর্ঘদিনের একটি আলোচিত মামলার নিষ্পত্তি হলো বলে মন্তব্য করেছেন আদালতসংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।