ছেলের হত্যা মামলায় প্রধান আসামি মা গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮:০০, ৯ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে এক মর্মস্পর্শী ঘটনায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে—নিজের ছেলেকে হত্যার অভিযোগে এবার মা-ই প্রধান আসামি। ভূজপুর থানার নারায়ণহাট ইউনিয়নের ইদিলপুর বাউদ্দার পাড় এলাকায় ২১ বছর বয়সী কামরুল হাসান কাউসারকে হত্যার অভিযোগে তার মা হামিদা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহতের নানী ফরিদা বেগম নিজ কন্যা হামিদা বেগমকে প্রধান আসামি করে ভূজপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছে করিম নামের এক সিএনজি চালক, যার সঙ্গে হামিদার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে।
ভূজপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুল আলম বলেন, `মামলার বাদী নিহতের নানী। ঘটনার দিনই সন্দেহভাজন হিসেবে হামিদা বেগমকে আটক করা হয় এবং মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে, যা তদন্তের স্বার্থে আপাতত প্রকাশ করা যাচ্ছে না।‘
নিহতের নানী ফরিদা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,`সে মা হয়ে নিজের ছেলেকে হত্যা করেছে—এমন জঘন্য কাজ পৃথিবীতে বিরল। স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে সে করিম নামের এক সিএনজি চালকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ায়। আমরা আগেও সন্দেহ করেছিলাম, কিন্তু মেয়ে বলে চুপ ছিলাম। এখন নিশ্চিত হয়েছি, সেই করিমের সঙ্গেই ওর অনৈতিক সম্পর্ক ছিল।‘
সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দেশে ফিরে আসেন নিহতের পিতা কামাল ভুঁইয়া। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, `ওই সিএনজি চালক করিমের সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্কের বিষয়ে অনেক আগেই সন্দেহ হয়েছিল। কিছু বললে বলতেন আত্মীয়। আমি চুপ ছিলাম ছেলের মান-সম্মানের কথা ভেবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে আমার একমাত্র সন্তানকে হত্যা করেছে। আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।‘
গত সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে ভূজপুর থানা পুলিশ কামরুল হাসান কাউসারের শয়নকক্ষ থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে । ঘটনার পর থেকেই সন্দেহভাজন হিসেবে তার মা হামিদা বেগমকে আটক করা হয়। পুলিশের ধারণা, হত্যার পেছনে পরকীয়ার জটিলতা ও পারিবারিক কলহই প্রধান কারণ।
ভূজপুর থানার ওসি মাহবুবুল আলম বলেন,‘মামলার তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে হত্যায় পরকীয়ার বিষয়টি সামনে এসেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কেউই ছাড় পাবে না।’