তিন ঘণ্টা যানজটে আটকা
শেষে মোটরসাইকেলে গন্তব্যে ফাওজুল কবির খান
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪:১৬, ৮ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১৫:২০, ৮ অক্টোবর ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে এসে নিজেই যানজটে আটকা পড়লেন সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। প্রায় তিন ঘণ্টা আটকে থাকার পর অবশেষে তিনি নিজের গাড়ি ছেড়ে মোটরসাইকেলে চড়ে ১১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছান। বুধবার দুপুর ১টা ৫ মিনিটে তিনি সরাইল-বিশ্বরোড এলাকায় পৌঁছান।
সকালে ঢাকা থেকে ট্রেনে ভৈরব পৌঁছে তিনি আশুগঞ্জের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্বরোড পরিদর্শনের সময় নির্ধারিত থাকলেও তীব্র যানজটের কারণে সেখানে পৌঁছাতে সময় লাগে তিন ঘণ্টারও বেশি। সোহাগপুর এলাকায় তার গাড়িবহর আটকে পড়ে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে এক জায়গায় স্থির থাকে, যেখানে মাত্র ৪০ মিটার পথ অতিক্রম করতে সময় লেগেছে দুই ঘণ্টা।
উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান সিক্সলেন-ফোরলেন সম্প্রসারণ কাজের অগ্রগতি দেখতে এসেছিলেন। কিন্তু irony হিসেবে দেখা দেয় — যে সড়কের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে এসেছেন, সেই সড়কেই যানজটে বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়তে হয় তাকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোলচত্বর থেকে সরাইল-বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তিন দিন ধরে ভয়াবহ যানজট বিরাজ করছে। ট্রাক, বাস, প্রাইভেটকারসহ হাজারো গাড়ি আটকে পড়ে আছে। কেউ কেউ রাতভর গাড়িতে থেকে সকালেও গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না।
গ্রীণলাইন পরিবহনের যাত্রী আব্দুল বাতেন বলেন,“রাত ২টায় ঢাকায় উঠেছিলাম, সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বিশ্বরোডও পার হতে পারিনি। সারারাত গাড়িতে বসে কষ্ট করেছি, কিন্তু কেউ আমাদের এই দুর্ভোগ দেখে না।”
খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “গতরাত থেকে যানজট আরও বেড়েছে। সড়কের ভাঙাচোরা অবস্থা ও উন্নয়ন কাজের কারণে এমন অবস্থা তৈরি হচ্ছে। আমরা যানজট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।”
এদিকে আশুগঞ্জ থানার ওসি খাইরুল আলম জানান,“উপদেষ্টার গাড়িবহর সকালে রওনা দিয়েই যানজটে পড়ে। হাইওয়ে ও থানা পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে, কিন্তু সড়কের দুরবস্থা ও ভারী যান চলাচলের কারণে স্থায়ী সমাধান আসছে না।”