রংপুর-গাইবান্ধায় অ্যানথ্রাক্স, মাঠে অনুসন্ধান দল
রংপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩:৩৪, ৭ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২৩:৫৯, ৭ অক্টোবর ২০২৫

রংপুর ও গাইবান্ধায় অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় উৎস অনুসন্ধান ও পরিস্থিতি মূল্যায়নে মাঠে নেমেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উচ্চপর্যায়ের অনুসন্ধান কমিটি। তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সরেজমিনে রংপুরের কাউনিয়া ও পীরগাছায় আক্রান্ত খামারি ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন।
এদিকে পীরগাছা, কাউনিয়া, মিঠাপুকুরের পর রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় আরও দুই ব্যক্তির শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. বয়জার রহমানের নেতৃত্বে থাকা অনুসন্ধান কমিটিতে আছেন এপিডেমিওলজি সেলের ফয়সাল তালুকদার ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) জাতীয় প্রযুক্তি উপদেষ্টা তায়ফুর রহমান।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় জানায়, কমিটি সোমবার (৬ অক্টোবর) তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের বানিয়াপাড়ায় গিয়ে তিনটি মৃত গরুর নমুনা সংগ্রহ করে। আজ মঙ্গলবার তারা পীরগাছার আনন্দী ধনীরাম, মাইটাইল ও কাউনিয়ার ঠাকুরদাস গ্রাম পরিদর্শন করেন। এসব এলাকায় কয়েকজনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ দেখা দিয়েছে এবং বেশ কিছু গবাদিপশু মারা গেছে।
বয়জার রহমান বলেন, “সংগৃহীত ১১টি গবাদিপশুর নমুনার মধ্যে ১০টির অ্যানথ্রাক্স ‘পজিটিভ’ পাওয়া গেছে। ঘাস ও মাটির নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে। সংক্রমণের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ করব।”
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা জানান, আক্রান্ত এলাকায় রিং মডেলের ভিত্তিতে টিকাদান কর্মসূচি চালানো হচ্ছে, যাতে সংক্রমণ আর না ছড়ায়। আগে সিরাজগঞ্জে এভাবে অ্যানথ্রাক্সের বিস্তার দেখা গেলেও এবার রংপুর অঞ্চলে ছড়ানো উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন তারা।
এদিকে গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু মো. আলেমুল বাসার জানান, মর্ণেয়া ইউনিয়নের মৌভাষা গ্রামের বাবা-মেয়ের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ দেখা গেছে। কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছের সংলগ্ন হওয়ায় ওই দুই ব্যক্তিকেও অ্যানথ্রাক্স সন্দেহে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।