রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

| ২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

কোটি টাকার রাস্তার গাছ নামমাত্র মূল্যে বিক্রির অভিযোগ

গাইবন্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০:২৪, ৭ অক্টোবর ২০২৫

কোটি টাকার রাস্তার গাছ নামমাত্র মূল্যে বিক্রির অভিযোগ

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে সরকারি রাস্তার দুই পাশে থাকা কোটি টাকার ইউক্যালিপটাস গাছ নামমাত্র মূল্যে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে এক সমবায় সমিতির সভাপতি ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই গোপনে গাছ কাটা হচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের প্রাপ্য ক্ষতিপূরণের অর্থও দেয়া হয়নি। এ ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০০৪ সালে ‘কেশবপুর মামা-ভান্নে সমবায় সমিতি’ নামে একটি সংগঠন কিশোরগাড়ি ইউনিয়নের সগুনার মোড় থেকে মেঘার মোড় পর্যন্ত দুই কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের দু’পাশে ইউক্যালিপটাস গাছ রোপণ করেছিল। সম্প্রতি সমিতির সভাপতি মো. আতিয়ার রহমান এসব গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে উপজেলা প্রশাসনে আবেদন করেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে নিয়ম অনুযায়ী প্রকাশ্য নিলামের মাধ্যমে বিক্রির নির্দেশ দেয়া হয়।

কিন্তু অভিযোগ অনুযায়ী, বিক্রয় কমিটির সভাপতি ও কিশোরগাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক এবং সমিতির সভাপতি আতিয়ার রহমান প্রশাসনকে না জানিয়ে গোপনে নিজস্ব লোকজন দিয়ে গাছ কাটা শুরু করেন। অনুমোদন ছাড়াই ইতিমধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ গাছ কেটে ফেলা হয়েছে এবং প্রতিদিনই নতুন করে গাছ কাটা হচ্ছে।

স্থানীয়দের দাবি, প্রায় এক হাজারের বেশি গাছের মধ্যে খাতা-কলমে মাত্র ৮২৫টি দেখানো হয়েছে। প্রায় এক কোটি টাকার সমমূল্যের গাছ বিক্রির হিসাব দেখানো হয়েছে মাত্র ৩৩ লাখ টাকা। স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী খাজা মিয়া বলেন, `৩৩ লাখ টাকায় গাছ বিক্রির কথা বলা হলেও আমার সঙ্গে আতিয়ার রহমান ৬৭ লাখ টাকায় চুক্তি করেছিলেন। পরে তিনি আরও বেশি দামে গাছ বিক্রি করে আমার কাগজপত্র নিয়ে ৭ লাখ টাকা ফেরত দেন।‘

রাস্তার পাশে থাকা জমির মালিকদের অভিযোগ, বিক্রয় অর্থের ২০ শতাংশ ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা থাকলেও তারা কোনো অর্থ পাননি। এক জমির মালিক বলেন, `২০ বছর ধরে জমিতে চাষাবাদ করতে পারছি না। গাছ বিক্রির টাকায় আমাদের অংশ দেয়ার কথা থাকলেও কিছুই পাইনি।‘

স্থানীয় বাসিন্দা জহুরুল ইসলাম বলেন, `আমাদের গ্রামের অনেকে টেন্ডারে অংশ নিতে চেয়েছিল, কিন্তু কবে নিলাম হয়েছে তা কেউ জানে না। হঠাৎ দেখি গাছ কাটা শুরু হয়েছে।‘

অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, `সব সরকারি নিয়ম মেনেই গাছ বিক্রি করা হয়েছে। গাছগুলোর নাম্বারিং অনেক আগেই মুছে গেছে।‘

পলাশবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম বলেন, `গাছ কাটার প্রক্রিয়া সম্পন্নের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছিল, তবে আনুষ্ঠানিক অনুমতি দেয়া হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।‘

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে গাছ কাটা শুরু হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত প্রায় ৬ শতাধিক গাছ কাটা হয়েছে।
 

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন

শীর্ষ সংবাদ:

হেবরনে ইব্রাহিমি মসজিদে মুসলিম প্রবেশ বন্ধ
যশোরের সাবেক এসপি প্রলয় কুমারের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
দেখে নিন ২০২৬ সালে ব্যাংকে ছুটির তালিকা
আল্লাহর গজবের কারণেই হাসিনার পতন: কাদের সিদ্দিকী
ইসির সংলাপের তালিকায় পরিবর্তন
রাজনীতি থেকে অবসরের ঘোষণা শমসের মবিন চৌধুরীর
জর্জিয়াকে বড় ব্যবধানে বিধ্বস্ত করে বিশ্বকাপের দ্বারপ্রান্তে স্পেন
সীতাকুণ্ডে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৬
জবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন সেই খাদিজা
পঞ্চগড়-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন সারজিস আলম
শিক্ষক আন্দোলনে সাউন্ড গ্রেনেডে আহত সহকারী শিক্ষিকা ফাতেমা আক্তারের মৃত্যু
বাহরাইনে জাতিসংঘ সমন্বয়কের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
ছয় জেলায় নতুন এসপি
শাহজালাল বিমানবন্দরে পুশকার্টের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত এয়ার ইন্ডিয়ার প্লেন
হাসিনার রায়ের দিন ট্রাইব্যুনালে সেনা মোতায়েন চেয়ে চিঠি
প্রাথমিকভাবে আনুমানিক ৮০০ সেনা যাবে কাতার
ককটেল নিক্ষেপ–আগুন দিলে গুলির নির্দেশ: ডিএমপি কমিশনার
সংসদে ৩৩ শতাংশ নারী আসন ও সরাসরি নির্বাচনের দাবি নারীপক্ষের
ভুয়া ভিডিও নিয়ে জরুরি সতর্কবার্তা দিল অর্থ মন্ত্রণালয়
বালুময় মরুর বুকে সৌদি ফ্যাশনের নবজাগরণ