মারামারি থামাতে গিয়ে ছেলের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল মায়ের
লালমনিরহাট সংবাদদাতা
প্রকাশ: ১৩:৫২, ৫ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১৪:৩৯, ৫ অক্টোবর ২০২৫

লালমনিরহাট সদরে এক মর্মস্পর্শী ও নৃশংস ঘটনার জন্ম দিয়েছে পারিবারিক বিরোধ। মারামারি থামাতে গিয়ে ছেলের ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন সুশীলা কর্মকার (৫৫) । ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (৫ অক্টোবর) রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামে।
নিহত সুশীলা কর্মকার ওই এলাকার মৃত ভেললো কর্মকারের স্ত্রী। অভিযুক্ত ছেলে নিমাই কর্মকারকে (২৮) ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ।
স্থানীয় জানায়, সম্প্রতি পারিবারিক কলহের জেরে নিমাই কর্মকারের স্ত্রী বাবার বাড়িতে চলে যান। এ নিয়ে শনিবার রাতে পরিবারে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। এরপর নিমাই বড়বাড়ী বাজারে গিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। মা সুশীলা কর্মকার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলেকে থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ক্রোধে অন্ধ নিমাই ছুরি তুলে মায়ের শরীরে একাধিকবার আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
নিহতের ভাবি জানান, নিমাই দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিল। তাকে আগেও পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। স্ত্রী চলে যাওয়ার পর থেকেই মানসিক ভারসাম্য আরও নষ্ট হয়ে যায়।
এক প্রতিবেশী বলেন, ‘নিমাইয়ের আচরণ অনেক দিন ধরেই অস্বাভাবিক ছিল। বাজারে মানুষকে কোপানোর পর মা গিয়ে বুঝিয়ে আনতে চেয়েছিলেন। তখনই সে মায়ের ওপর ছুরি চালায়। এমন অমানবিক ঘটনা আমাদের এলাকাকে স্তব্ধ করে দিয়েছে।’
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুন্নবী জানান, ‘ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত নিমাই কর্মকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন। তিনি মানসিক রোগী কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’