ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
চাঁদপুর সংবাদদাতা
প্রকাশ: ২০:০৯, ২ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১৯:৫১, ৩ অক্টোবর ২০২৫

ইলিশের প্রজনন মৌসুমকে সামনে রেখে শুক্রবার মধ্যরাত (৪ অক্টোবর) থেকে শুরু হচ্ছে টানা ২২ দিনের মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা। চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন নদীতে ইলিশ সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
এই সময়ে ইলিশ আহরণ, বিপণন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। ‘মৎস্য সংরক্ষণ আইন’ অনুযায়ী, কেউ এই আইন ভঙ্গ করলে সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য বিভাগ ও জেলা টাস্কফোর্স জানিয়েছে, অভিযানের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ইতোপূর্বে পদ্মা-মেঘনার প্রায় ৭০ কিলোমিটার অভয়াশ্রম এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়েছে, যাতে মা ইলিশ নিরাপদে ডিম ছাড়তে পারে।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ সমাজকালকে বলেন,`আমাদের সকল প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। এ মৌসুমে নিবন্ধিত জেলেদের সরকারিভাবে ২৫ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। ৫ অক্টোবরের মধ্যেই এ বিতরণ শেষ করা হবে।‘
তবে স্থানীয় জেলেরা এই বরাদ্দকে পর্যাপ্ত মনে করছেন না। শহরতলীর তরপুরচন্ডী ও আশপাশ এলাকার কয়েকজন জেলে জানান—`আমরা সরকারি নির্দেশনা মেনে নদীতে নামি না, কিন্তু ২৫ কেজি চাল আমাদের জন্য খুবই অপ্রতুল। পরিবার চালাতে আরও সহায়তা দরকার। শুধু চাল নয়, নগদ অর্থ বরাদ্দ থাকলে ভালো হতো।‘
বাংলাদেশে ইলিশ শুধু একটি মাছ নয়, জাতীয় পরিচয়ের অংশ। কিন্তু অতিরিক্ত আহরণ ও প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ নিধনের কারণে প্রজাতিটি হুমকির মুখে পড়ে। সরকারের এই পদক্ষেপ ইলিশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ হলেও, স্থানীয় জেলেদের জীবন-জীবিকার বিষয়টি সমান্তরালে গুরুত্ব পাওয়া জরুরি। যথাযথ বিকল্প সহায়তা নিশ্চিত না হলে জেলেরা হয়তো আবারও ঝুঁকির মুখে মাছ ধরতে বাধ্য হবে।