চট্টগ্রাম বন্দরে ১৪ অক্টোবর থেকে বাড়তি ট্যারিফ কার্যকর
কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে সর্বোচ্চ ৪১% বৃদ্ধি
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭:২৮, ২ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম বন্দরে আসা জাহাজ, কনটেইনার ও কার্গোর সব ধরনের সেবায় আগামী ১৪ অক্টোবর রাত ১২টা থেকে নতুন ট্যারিফ কার্যকর হচ্ছে। দীর্ঘ এক মাস স্থগিত রাখার পর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের অর্থ ও হিসাবরক্ষণ বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা মো. আবদুস শাকুর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্ধারিত সময়ের পর আসা সব জাহাজ ও কনটেইনারে বাড়তি ট্যারিফ আদায় করা হবে। সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধি, শিপিং এজেন্টসহ বন্দরের সব ব্যবহারকারীকে নতুন হারে মাশুল পরিশোধ করতে হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত অর্থ সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রায় চার দশক পর বন্দরের ট্যারিফ বাড়ানো হলো। সর্বশেষ ১৯৮৬ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে বিভিন্ন সেবা খাতে মাশুল বৃদ্ধি করা হয়েছিল। এবার অন্তর্বর্তী সরকার সেই পুরনো কাঠামো ভেঙে নতুন হার কার্যকর করছে।
বন্দরের ৫২টি খাতের মধ্যে ২৩টি খাতে সরাসরি নতুন ট্যারিফ কার্যকর হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে কনটেইনার হ্যান্ডলিং খাতে—প্রতি ২০ ফুট কনটেইনারের নতুন ট্যারিফ দাঁড়িয়েছে ১৬,২৪৩ টাকা (আগে ছিল ১১,৮৪৯ টাকা)।অর্থাৎ গড়ে প্রায় ৩৭% বৃদ্ধি।আমদানি কনটেইনারে অতিরিক্ত ৫,৭২০ টাকা এবং রফতানি কনটেইনারে ৩,০৪৫ টাকা বাড়তি মাশুল দিতে হবে।প্রতিটি কনটেইনার ওঠা-নামায় বাড়তি খরচ হবে প্রায় ৩,০০০ টাকা।সামগ্রিকভাবে কনটেইনার হ্যান্ডলিং খাতে ট্যারিফ বাড়ছে ২৫% থেকে ৪১% পর্যন্ত।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে জারি করা প্রজ্ঞাপনে মাশুল বৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়া হলে ব্যবসায়ীদের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তাদের অনুরোধে নৌপরিবহন উপদেষ্টা ২০ সেপ্টেম্বর এ সিদ্ধান্ত এক মাসের জন্য স্থগিত রাখেন। তবে সেই সময়সীমা শেষ হওয়ায় ১৪ অক্টোবর থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন ট্যারিফ।
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দেশের ৯২% আমদানি-রফতানি এবং ৯৮% কনটেইনার পরিবহন সম্পন্ন হয়। ট্যারিফ বাড়ায় ব্যবসায়ীদের পরিচালন ব্যয় বাড়বে এবং ভোক্তা পর্যায়ে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, “ট্যারিফ বৃদ্ধির গেজেট ইতিমধ্যে জারি করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের অনুরোধে এক মাস স্থগিত রাখা হলেও নির্ধারিত সময় শেষে তা কার্যকর হবে।”