খাগড়াছড়ির ঘটনায় পুলিশের ৩ মামলা, আসামি দেড় হাজার
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫:০৭, ২ অক্টোবর ২০২৫

খাগড়াছড়িতে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে সহিংসতায় উত্তাল হয়ে ওঠা পরিস্থিতি এখন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। তবে সহিংসতা ঠেকাতে এবং দুষ্কৃতকারী শনাক্ত করতে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
বুধবার রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় একটি এবং গুইমারা উপজেলায় ৩ জনকে হত্যা ও সহিংসতা সৃষ্টির ঘটনায় দুটি মামলা করা হয়। মামলাগুলোতে অজ্ঞাত প্রায় দেড় হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান, সহিংসতার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। ক্ষতিগ্রস্তরা চাইলে আলাদাভাবে মামলা করতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যৌথভাবে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কোনো ধরনের নাশকতা বরদাস্ত করা হবে না।”
এদিকে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার জানিয়েছেন, এখনো সদর ও গুইমারা উপজেলায় ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে। তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলার উন্নতির ওপর নির্ভর করে এ ধারা প্রত্যাহার করা হবে। পরিবেশ সম্পূর্ণ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তা বহাল থাকবে।”
গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সদর উপজেলার সিঙ্গিনালা এলাকায় প্রাইভেট পড়া শেষে ফেরার পথে এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা সদর থানায় মামলা করেন। সন্দেহভাজন হিসেবে শয়ন শীল নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ধর্ষণ মামলার দ্রুত বিচারসহ ৮ দফা দাবিতে তিন পার্বত্য জেলায় অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ডাকে স্থানীয় সংগঠন ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’। তবে গত মঙ্গলবার রাতে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়। এদিকে, খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ছাবের জানিয়েছেন, ডাক্তারি পরীক্ষায় কিশোরীকে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
খাগড়াছড়ি শহর ও উপ-শহরগুলোতে এখন মানুষের আনাগোনা বেড়েছে, স্বাভাবিকভাবে চলছে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ যানবাহন। তবে গুইমারা ও সদর উপজেলায় কড়া নিরাপত্তা জারি রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে অস্থায়ী নিরাপত্তা চৌকি। যাত্রী ও পথচারীদের তল্লাশি চলছে।