রংপুরে অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক
আরও ৩ জন আক্রান্ত, জেলায় মোট শনাক্ত ১১
রংপুর সংবাদদাতা
প্রকাশ: ১৩:১৬, ২ অক্টোবর ২০২৫

রংপুরে আবারও অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। জেলার কাউনিয়া উপজেলায় ২ জন এবং মিঠাপুকুরে ১ জন নতুন রোগীর শরীরে অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হয়েছে। এর আগে পীরগাছা উপজেলায় আরও ৮ জনের শরীরে এ রোগ ধরা পড়ে। ফলে এখন পর্যন্ত পুরো জেলায় মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১।
রংপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. শাহীন সুলতানা বুধবার (১ অক্টোবর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আক্রান্তদের শরীর থেকে সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষা করে আইইডিসিআর অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত করেছে।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ সেপ্টেম্বর রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ইমাদপুর ইউনিয়নের আমাইপুর গ্রামে কৃষক ইব্রাহিম মিয়ার একটি অসুস্থ গরু জবাই করা হয়। এ সময় আশপাশের কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা মাংস কাটাকাটি করেন। দুই দিন পর থেকেই সোহরাব হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, মনির হোসেন ও মজিবর রহমানসহ কয়েকজনের শরীরে চর্মরোগ দেখা দেয়। তাদের নমুনা পরীক্ষার পর একজনের শরীরে অ্যানথ্রাক্স ধরা পড়ে। পরবর্তীতে আরও ২ জনের মধ্যে একই রোগ শনাক্ত হয়।
এর আগে আগস্টের শুরুতে পীরগাছায় একের পর এক গবাদিপশুর মৃত্যু নিয়ে আতঙ্ক দেখা দেয়। পরে ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বর আইইডিসিআরের প্রতিনিধি দল সেখানে গিয়ে ১২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে। পরীক্ষায় দেখা যায়, তাদের মধ্যে ৮ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্স রয়েছে।
পরে আরও ৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এরই মধ্যে কাউনিয়া ও মিঠাপুকুরে নতুন করে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যানথ্রাক্স মূলত পশুর শরীরে থাকা ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস ব্যাকটেরিয়া থেকে মানুষের শরীরে ছড়ায়। অসুস্থ গরু জবাই ও মাংস কাটাকাটি করার সময় এটি সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় জানিয়েছে, আক্রান্তদের আলাদা করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আক্রান্ত এলাকার গবাদিপশু পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এবং স্থানীয় জনগণকে সতর্ক করা হয়েছে যেন অসুস্থ পশু জবাই বা মাংস গ্রহণ না করে।