খাগড়াছড়িতে চতুর্থ দিনের মতো চলছে অবরোধ, জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা
খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা
প্রকাশ: ১৪:৩৩, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৪:৩৩, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। মোড়ে মোড়ে অবস্থান করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ছবিটি সংগৃহিত
খাগড়াছড়িতে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে চতুর্থ দিনের মতো টানা অবরোধ চলছে। জেলা প্রশাসনের জারিকৃত ১৪৪ ধারা এখনো বলবৎ রয়েছে। চারদিকে নেমে এসেছে নীরবতা, দূরপাল্লার বাস থেকে শুরু করে অভ্যন্তরীণ যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। তবে জরুরি প্রয়োজনে সীমিত আকারে মোটরসাইকেল ও সিএনজি চালাতে দেখা গেছে।
যেকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে অস্থায়ী নিরাপত্তা চৌকি। পথচারী থেকে শুরু করে চলাচলরত যানবাহনের সবাইকে তল্লাশি করা হচ্ছে। টহল জোরদার রাখা হয়েছে যাতে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে নতুন কোনো বিশৃঙ্খলার জন্ম না হয়।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান, আজ গুইমারা এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শন করা হবে। তিনি বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা যৌথভাবে কাজ করছি। কোনো নতুন বিশৃঙ্খলা যাতে না ঘটে, সেদিকে সর্বোচ্চ নজর দেওয়া হচ্ছে।”
জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, “খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারা উপজেলায় আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা থাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। অবরোধ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত এই নির্দেশ বহাল থাকবে।”
এদিকে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মরদেহ গতকাল রাতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আহতরা খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতাল ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় প্রাইভেট পড়া শেষে ফেরার পথে কয়েকজন যুবক এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন। সন্দেহভাজন হিসেবে শয়ন শীল (১৯) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সব আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারসহ আট দফা দাবিতে তিন পার্বত্য জেলায় ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’ অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় খাগড়াছড়িতে চার দিন ধরে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।