খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি
থমথমে পরিবেশ, দোকানপাট বন্ধ, নিরাপত্তায় সেনা-বিজিবি
খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা
প্রকাশ: ১৩:৫৬, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

খাগড়াছড়িতে মারমা শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলার পরিস্থিতি এখনও থমথমে। শনিবারের সহিংসতার পর রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে খাগড়াছড়ি পৌর শহরে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি যৌথভাবে মোতায়েন রয়েছে। জেলা সদরে সাত প্লাটুন বিজিবি অবস্থান করছে, পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সেনা ও পুলিশ সদস্যরা টহল দিচ্ছেন।
শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেন। ফলে সকাল থেকেই শহরের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। তবে এখনো কোনো নতুন সহিংস ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার ও শনিবার টানা সড়ক অবরোধ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও জ্বালাও-পোড়াওয়ের কারণে শহরের পরিবেশ অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। শনিবার জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকা সকাল-সন্ধ্যা অবরোধে মহাজন পাড়া ও সদর উপজেলা পরিষদ এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ২৩ জন আহত হন।
খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. মো. ছাবের জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে ২১ জন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন, দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সেনা-বিজিবি ও পুলিশের যৌথ তৎপরতা
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিরাপত্তা বাহিনী যৌথভাবে কাজ করছে। পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানিয়েছেন, উত্তেজনা প্রশমনে সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করা হয়। তিনি বলেন, “নতুন করে সহিংসতা ঠেকাতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি।”
পর্যটকদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী
অবরোধ ও সহিংসতার কারণে সাজেক ভ্যালিতে আটকে পড়া দুই হাজারের বেশি পর্যটককে শনিবার রাতে সেনাবাহিনীর নিরাপত্তায় খাগড়াছড়ি শহরে আনা হয়। পরে মধ্যরাতের মধ্যে তারা নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে যান।
বর্তমানে খাগড়াছড়ি জুড়ে টানটান পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।