সংসদীয় আসন পুনর্বহাল
রবিবার থেকে আবারও নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও
বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮:০৪, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৮:৫৭, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন পুনর্ববহালের দাবিতে চলমান আন্দোলন দুই দিনের জন্য স্থগিত করেছে ‘সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি’।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এ ঘোষণা দেন কমিটির কো-কনভেনর এম এ সালাম। তিনি জানান, শুক্রবার ও শনিবার সরকারি ছুটি থাকায় নির্বাচন অফিস ঘেরাও কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত থাকবে। তবে রবিবার থেকে পুনরায় একই কর্মসূচি চলবে। এ ছাড়া আগামী সপ্তাহে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু করারও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
দিনভর চার আসন বহালের দাবিতে জেলা নির্বাচন অফিস ঘেরাও করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় কর্মকর্তাদের অফিসে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল এসে জড়ো হয় প্রধান ফটকের সামনে।
দুপুরের দিকে ঘেরাও কর্মসূচিতে যোগ দেন ডাকসুর নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো. বেলাল হোসেন অপু। তিনি বলেন, “এটা বাগেরহাটবাসীর যৌক্তিক দাবি। নির্বাচন কমিশন যদি চারটি আসন ফিরিয়ে না দেয়, তাহলে আরও কঠোর আন্দোলন হবে।”
এদিকে বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছে। একইসঙ্গে চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি করার নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ হবে না— সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শেখ মোহাম্মাদ জাকির হোসেন জানিয়েছেন, আদালতে চারটি আসন ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়েও কাজ চলছে।
গেল ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন প্রাথমিক প্রস্তাবে বাগেরহাটের চার আসনের মধ্যে একটি বাদ দিয়ে তিনটি রাখার সিদ্ধান্ত জানায়।
দীর্ঘদিন ধরে চলমান চার আসনের সীমানা ছিল—
বাগেরহাট-১: চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট
বাগেরহাট-২: বাগেরহাট সদর-কচুয়া
বাগেরহাট-৩: রামপাল-মোংলা
বাগেরহাট-৪: মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা
কিন্তু চূড়ান্ত গেজেটে (৪ সেপ্টেম্বর) তিনটি আসনের সীমানা প্রকাশ করা হয়—
বাগেরহাট-১: বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট
বাগেরহাট-২: ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা
বাগেরহাট-৩: কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা
এতে বাগেরহাটবাসীর দীর্ঘদিনের চার আসনের দাবি উপেক্ষিত হয়েছে বলে মনে করছেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতারা। তারা বলেছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে এবং প্রয়োজনে ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেওয়া হবে।