১৭ বিয়ে করা বন কর্মকর্তা বরখাস্ত
বরিশাল সংবাদদাতা
প্রকাশ: ১৭:৪৮, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বরিশালে আলোচিত ১৭ বিয়ের ঘটনায় অবশেষে ব্যবস্থা নিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. কবির হোসেন পাটোয়ারীকে সাময়িক বরখাস্ত করে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জারি হওয়া এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
একই সঙ্গে বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তার দায়িত্বভার অর্পণ করা হয়েছে পটুয়াখালী বিভাগের উপ-বন সংরক্ষক ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান মিঞাকে। তিনি বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে।
বরিশাল বিভাগীয় উপকূলীয় অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে গণমাধ্যমকে বলেন, “মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি ই-মেইল পেয়েছি। নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”
প্রতারণার অভিযোগে ১৭টি বিয়ে
সরকারি চাকরির সুযোগ, বিদেশে পড়াশোনা, বিমানবালা হওয়ার প্রলোভন এবং সম্পত্তি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে একে একে ১৭ নারীকে বিয়ে করেন বন কর্মকর্তা কবির হোসেন।
গত ১১ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী নারীরা ও তাদের পরিবার বরিশাল নগরীর কাশিপুর বন সংরক্ষক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন। ওই কর্মসূচিতে ঢাকার নাজনিন আক্তার শীলা, নারায়ণগঞ্জের সোনিয়া আক্তার, খুলনার নাসরিন আক্তার দোলনসহ ১৭ নারী প্রতারণার শিকার হওয়ার অভিযোগ তোলেন।
১৭ বিয়ের ঘটনায় মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাফিজ আহম্মেদ বাবলু বরিশালের আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাদিক আহম্মেদ পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আইনজীবী বাবলু জানান, কবির হোসেন চাঁদপুরের মতলবের বাসিন্দা। বিভিন্ন জেলায় চাকরির সুবাদে থেকে তিনি প্রতারণার মাধ্যমে ১৭টি বিয়ে করেছেন। এভাবে তিনি মুসলিম ফ্যামিলি আইনের ১৯৬১ সালের ৬(৫) ধারার বিধান লঙ্ঘন করেছেন, যা গুরুতর অপরাধ এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সামাজিক সংস্কৃতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
এ বিষয়ে জানতে কবির হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সেটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।