চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ
সিজার চলাকালে নবজাতকের পা ভাঙার অভিযোগ
পায়রা বন্দর (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০:৩৫, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ০২:২২, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সিজারিয়ান অপারেশনের সময় এক নবজাতকের বাম পা ভাঙার অভিযোগ উঠেছে জমজম ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চেয়ারম্যান ডা. পার্থ সমদ্দারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্বজনদের ক্লিনিক থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রসব বেদনা নিয়ে উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামের মিম বেগমকে ওই ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক পার্থ সমদ্দার সিজার অপারেশন সম্পন্ন করেন। অপারেশনের পরপরই নবজাতকের বাম পায়ে ইনজেকশন দেওয়ার পর ফোলা দেখা দেয় এবং শিশুটি অস্বাভাবিকভাবে কাঁদতে থাকে।
স্বজনরা দাবি করেন, বিষয়টি চিকিৎসক ও নার্সদের জানানো হলেও তারা কর্ণপাত করেননি; বরং ধমক দিয়ে ক্লিনিক ছাড়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। পরে এক্সরে করালে দেখা যায়, শিশুর বাম পা ভেঙে গেছে। পরিবারের ধারণা, অপারেশনের সময়ই এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শিশুর মা মিম আক্তার বলেন, “বাচ্চার অবস্থা খারাপ হলেও আমরা বারবার ডাক্তারদের জানিয়েছি। কিন্তু তারা গুরুত্ব দেননি, উল্টো আমাদের অবহেলা করেছে।”
নবজাতকের নানা সিদ্দিক মিয়া অভিযোগ করেন, সংবাদমাধ্যমে খবর জানাতে চাইলে রবিবার রাতে কয়েকজন লোক তাদের মারধর করে ক্লিনিক থেকে বের করে দেয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে ডা. পার্থ সমদ্দার বলেন, “আমি শিশু বিশেষজ্ঞ নই। শিশুটিকে শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। অপারেশনের সময় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।”
স্থানীয়ভাবে অভিযোগ রয়েছে, এনেসথেসিস্ট হলেও তিনি নিয়মিত নিজেই সিজার পরিচালনা করেন এবং সহকারী হিসেবে থাকেন তার স্ত্রী ডেন্টিস্ট ডা. দেবলীনা সূতার সিথী।
কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, “সিজারিয়ান করার প্রশিক্ষণ থাকলে এনেসথেসিস্ট অপারেশনে অংশ নিতে পারেন, তবে একা পরিচালনা করতে পারেন না।”