মাওলানা নোমানী হত্যাকাণ্ডে উত্তাল জনতা
ভোলা সংবাদদাতা
প্রকাশ: ১৯:৪৬, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ০৪:৪৬, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে আজ দুপুরে অনুষ্ঠিত হলো ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের নেতা মাওলানা আমিনুল ইসলাম নোমানীর জানাজা। পরিবারের কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হলেও এ হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে পুরো জেলায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
জানাজার আগে ‘ভোলা জেলার সর্বস্তরের তৌহিদী জনতা’ সংগঠনের আহ্বায়ক ও ভোলা দারুল হাদিস কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা মো. মোবাশ্বিরুল হক নাঈম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি প্রশাসনের উদ্দেশে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও কার্যকর পদক্ষেপ দৃশ্যমান না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
আল্টিমেটাম ও কর্মসূচি ঘোষণা
সোমবার ভোলার সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার সকাল ১১টায় ভোলা হাটখোলা মসজিদ চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও শোক র্যালি হবে।
পরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
মোবাশ্বিরুল হক নাঈম স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “আমরা প্রশাসনের সদিচ্ছা দেখতে চাই। সময়সীমার মধ্যে পদক্ষেপ না নিলে তৌহিদী জনতা বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।”
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভোলা পৌরসভার চরনোয়াবাদ এলাকায় নিজ বাসভবনে দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যা করে মাওলানা নোমানীকে। এ ঘটনার পর থেকেই এলাকায় চরম ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ভোলার ধর্মপ্রাণ জনগণ, শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক কর্মীরা মনে করছেন, এই হত্যাকাণ্ড শুধু একজন আলেমকে হত্যা নয়, বরং সামাজিক নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলার জন্য বড় হুমকি। তাই তারা প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করেছেন।