কনে দেখতে যাওয়ার পথে নৌকাডুবি : নিখোঁজ ঘটকের মরদেহ উদ্ধার
সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা
প্রকাশ: ১৫:৪৭, ২৪ আগস্ট ২০২৫

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার ধারাম হাওরে কনে দেখতে যাওয়ার পথে ঘটে যাওয়া নৌকাডুবির ঘটনায় অবশেষে এক নিখোঁজ ঘটকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। নিহত ব্যক্তির নাম মো. সামছুদ্দিন। তিনি ঘটক হিসেবে কনে দেখতে যাওয়ার দলে ছিলেন।
রবিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে দুর্ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর ধারাম হাওরের পানিতে ভেসে ওঠে মরদেহটি। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তা উদ্ধার করেন।
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনানুল হক জানান, শনিবারের নৌকাডুবিতে নিখোঁজ থাকা দু’জনের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে কান্দাপাড়া গ্রামের বাবুল মিয়ার সাত বছরের মেয়ে মোছা. নুসরাত। শিশুটিকে উদ্ধারে হাওরে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার দুপুরে কান্দাপাড়া গ্রাম থেকে জয়শ্রী ইউনিয়নের মহেষপুর গ্রামে কনে দেখতে যাচ্ছিল একটি নৌকা। ধারাম হাওরে পৌঁছানোর পর নৌকাটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
নৌকায় মোট ৭ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে ৫ জন সাঁতার কেটে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও সামছুদ্দিন ও ছোট্ট নুসরাত পানিতে তলিয়ে যান।
ধর্মপাশা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ লিয়াকত আলী বলেন,“নৌকাডুবির ঘটনায় দুইজন নিখোঁজ ছিলেন। আজ হাওর থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ শিশুটিকে উদ্ধারে আমাদের অভিযান চলছে।”
গ্রামীণ জনপদে কনে দেখতে যাওয়ার মতো আনন্দঘন সফর এমন মর্মান্তিক ঘটনায় রূপ নেবে, তা কল্পনাও করেননি কেউ। স্থানীয়রা বলছেন, বর্ষাকালে হাওরে যাতায়াতে সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা প্রয়োজন। অনেক নৌকাতেই নেই পর্যাপ্ত ভেলকি বা নিরাপত্তা সামগ্রী। এ ধরনের অবহেলা বারবার প্রাণহানির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
হাওরাঞ্চলে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা ও সামাজিক কার্যক্রমের জন্য নৌযাত্রা প্রতিদিনের বাস্তবতা। তবে নিয়মিত দুর্ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে। এ ঘটনায় নিহত সামছুদ্দিনের পরিবার শোকাহত এবং নিখোঁজ শিশুর পরিবার এখনো সন্তানের অপেক্ষায় অশ্রুসিক্ত।