পিআর পদ্ধতি হলো, ভোট হবে সন্দ্বীপে প্রার্থী থাকবে মালদ্বীপে: টুকু

জামালপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, “যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল তারা এখন মুক্তিযুদ্ধকে চ্যালেঞ্জ করার সাহস পাচ্ছে। শেখ হাসিনার জন্যই এটা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ না হলে এই ভূখণ্ড হতো না, জিয়াউর রহমান যুদ্ধের ঘোষণা না করলে এই ভূখণ্ড হতো না। কিন্তু বাপের সম্পত্তি বানিয়ে শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধকে পচিয়ে দিয়েছে। ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানকে একটা শ্রেণি দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলার চেষ্টা করে। সন্তান একবারই জন্মগ্রহণ করে, যে মুক্তিযুদ্ধ আমাদের মানচিত্র দিয়েছে, পতাকা এনে দিয়েছে সেটাই স্বাধীনতা, দ্বিতীয় স্বাধীনতা হতে পারে না।”

শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকালে জামালপুর জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পিআর পদ্ধতি নিয়ে কড়া সমালোচনা করে টুকু বলেন, “একটা নতুন আবিষ্কার হয়েছে পিআর পদ্ধতি। পিআর পদ্ধতি হলো ভোট হবে সন্দ্বীপে, প্রার্থী থাকবে মালদ্বীপে। আমাদের বাংলাদেশের মানুষ যারা ভোট দেয় তারা তাদের প্রার্থীকে দেখতে চায়। যার ভোট সে একজনকে ভোট দেবে, যাকে ভোট দেবে তাকে চিনতে হবে। পিআর মানুষ খায়ও না, পরে না, বিশ্বাসও করে না।”

শহরের বেলটিয়া এলাকায় স্থানীয় একটি মাঠে জেলা বিএনপির এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরিফুল আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ এবং অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সম্মেলনে ৭টি উপজেলা ও ৮টি পৌর শাখা বিএনপির মোট ১ হাজার ৫১৫ জন কাউন্সিলরসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। দীর্ঘ ৯ বছর পর আয়োজিত জেলা বিএনপির সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়।

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে ফরিদুল কবির তালুকদার শামীমকে সভাপতি এবং অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুনকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা বিএনপির ১২ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন স্থায়ী কমিটির সদস্য টুকু।