বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫

| ১২ ভাদ্র ১৪৩২

বাগেরহাটে ৪ আসন পুনর্বহালের দাবিতে  অবরোধ

বাগেরহাট সংবাদদাতা 

প্রকাশ: ১৩:৩৩, ২৪ আগস্ট ২০২৫

বাগেরহাটে ৪ আসন পুনর্বহালের দাবিতে  অবরোধ

বাগেরহাট জেলায় চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে আজ রবিবার সকাল থেকেই সর্বাত্মক অবরোধ ও হরতাল চলছে। সকাল ৫টা থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে। ফলে সড়ক ও নৌপথে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে শিল্পকারখানা, ইপিজেড কার্যক্রম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, এমনকি মোংলা নদীর খেয়া ও ফেরি চলাচলও।

অবরোধের কারণে বাগেরহাট কার্যত সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রাজধানীর সঙ্গে খুলনা-মাওয়া হয়ে যাতায়াতও বন্ধ রয়েছে।


গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশনের বিশেষ কারিগরি কমিটি বাগেরহাটের চারটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নামে। সংবাদ সম্মেলন, রাজপথ অবরোধ, নির্বাচন অফিসে অবস্থান কর্মসূচি ও স্মারকলিপি দেওয়ার পরও ইসির অবস্থান পরিবর্তন না হওয়ায় আজকের সর্বাত্মক অবরোধ ঘোষণা করা হয়।

মোংলা পৌর সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির আহ্বায়ক আলহাজ্ব মো. জুলফিকার আলী বলেন,

 “সর্বস্তরের জনগণ আমাদের দাবির পক্ষে রয়েছে। দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান কেউ খুলছে না। ইপিজেডসহ সরকারি-বেসরকারি অফিস কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।”

তিনি আরও জানান, দাবি না মানা হলে এর চেয়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

অবরোধে মোংলা ও আশপাশের এলাকায় অচলাবস্থা বিরাজ করছে। দূরপাল্লার কোনো যানবাহন ছেড়ে যায়নি, স্থানীয় রুটের বাস-মিনিবাসও বন্ধ রয়েছে। ব্যবসায়ীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে দোকানপাট বন্ধ রেখেছেন। মোংলা বন্দর এলাকার কার্যক্রম থেমে যাওয়ায় পণ্য পরিবহনও স্থবির হয়ে পড়েছে।


২৫ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে বাগেরহাটের আসনসংক্রান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। আন্দোলনকারীরা আশা করছেন, ইসি চার আসন বহালের দাবিতে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে।

বাগেরহাটে আসন পুনর্বিন্যাসকে ঘিরে যে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে উঠেছে, তা শুধু রাজনৈতিক নয়; বরং সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণই এটিকে সর্বজনীন করেছে। নির্বাচন কমিশন যদি জনগণের দাবির প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়, তবে জাতীয় রাজনীতিতেও এর প্রতিধ্বনি পড়তে পারে।

আরও পড়ুন

শীর্ষ সংবাদ: