ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০:৫৬, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
রাজধানীর কয়েকটি খ্রিস্টান ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাম্প্রতিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নীরব মানববন্ধন করেছেন সেন্ট মেরীস ক্যাথিড্রাল, বাংলাদেশ খ্রিস্টান ফোরাম এবং ঢাকা মহানগর পালকীয় পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা।
মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
তেজগাঁও জপমালা রানী গির্জা, রমনার সেন্ট মেরীস ক্যাথিড্রাল এবং মোহাম্মদপুরের সেন্ট যোসেফ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে গত কয়েক দিনের ব্যবধানে বিস্ফোরণের ঘটনাগুলোকে ‘উদ্বেগজনক’ এবং ‘সম্প্রীতির জন্য হুমকি’ বলে উল্লেখ করেন বক্তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সেন্ট মেরীস ক্যাথিড্রালের প্রধান সমন্বয়কারী ফাদার আলবাট রোজারিও, বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জন গোমেজ, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও,
বাংলাদেশ খ্রিস্টান মহাজোট সভাপতি অ্যাডভোকেট জানিয়েল নির্মল ডি’কোস্তা, বাংলাদেশ খ্রিস্টান ফোরামের মহাসচিব অনিল লিউ কস্তা এবং খ্রিস্টান মহাজোটের দপ্তর সম্পাদক গারিয়েল ডি’কোস্তা প্রমুখ।
বক্তারা জানান, বিস্ফোরণের পরপরই পুলিশ প্রশাসন সংশ্লিষ্ট এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এতদিনেও অপরাধীরা শনাক্ত না হওয়াকে ‘দুঃখজনক ও অস্বাভাবিক’ বলে মন্তব্য করেন তারা।
তাদের অভিযোগ—দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অতীতে বড় অপরাধ উদঘাটনে সক্ষমতা দেখালেও সাম্প্রতিক এসব হামলার রহস্য উন্মোচনে গড়িমসি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বক্তারা দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে খ্রিস্টান সম্প্রদায় সবসময় শান্তি, সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের পক্ষে কাজ করে এসেছে। তাই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে যেকোনো হামলা শুধু খ্রিস্টানদের নয়, সামগ্রিক সামাজিক সম্প্রীতির ওপর আঘাত—যা দৃষ্টান্তমূলকভাবে মোকাবিলা করা জরুরি বলে তারা উল্লেখ করেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বৃদ্ধির পাশাপাশি সাম্প্রতিক হামলার তদন্তে বিশেষায়িত টাস্কফোর্স গঠনেরও দাবি জানান।
