নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র জোহরান মামদানি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১০:২১, ৫ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১১:৫৫, ৫ নভেম্বর ২০২৫
নিউইয়র্ক সিটির নতুন মেয়র জোহরান মামদানি।ছবি: সংগৃহীত
প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হয়ে নিউইয়র্ক শহরের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচনা করলেন জোহরান মামদানি।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো ও রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়াকে পরাজিত করে এই বিজয় অর্জন করেন তিনি।
এপির খবরে বলা হয়, মামদানির জয় নিশ্চিত হওয়ার পর শহরজুড়ে তার সমর্থকরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। নিউইয়র্কের রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, তার এই বিজয় শুধু প্রগতিশীল রাজনীতির নয়, বরং ধর্মীয় ও জাতিগত বৈচিত্র্যকে আলিঙ্গন করা আমেরিকার শহুরে রাজনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত।
৩৪ বছর বয়সী এই তরুণ রাজনীতিক ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রগ্রেসিভ ধারার প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের অ্যাসেম্বলি সদস্য হিসেবে কাজ করছেন এবং সামাজিক ন্যায়বিচার, বাসস্থানের অধিকার ও গণপরিবহন সহজলভ্য করার পক্ষে সোচ্চার ছিলেন।
নির্বাচনী প্রচারে তিনি বিনা ভাড়ায় বাস সেবা, সর্বজনীন শিশু যত্ন, নগর পরিচালিত মুদি দোকান, ভাড়া নিয়ন্ত্রিত বাসস্থান ও ২০৩০ সালের মধ্যে ন্যূনতম মজুরি ৩০ ডলারে উন্নীত করার অঙ্গীকার করেন। বর্তমানে সেখানে ন্যূনতম মজুরি ১৬ দশমিক ৫০ ডলার।
তার পরিকল্পনা অনুযায়ী এসব সামাজিক সেবার ব্যয় নির্বাহ করা হবে কর্পোরেট ট্যাক্স ১১ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত করে এবং বছরে এক মিলিয়ন ডলারের বেশি আয়কারীদের ওপর অতিরিক্ত ২ শতাংশ আয়কর আরোপের মাধ্যমে। মামদানি বিশ্বাস করেন, এই সংস্কারের ফলে নিউইয়র্ক শহর আরও বাসযোগ্য ও মানবিক হবে।
এ ছাড়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ইস্যুতেও তিনি সাহসী অবস্থান নিয়েছেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিউইয়র্কে প্রবেশ করলে তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেবেন। গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়টি উল্লেখ করে মামদানি বলেন, ‘মানবিকতার প্রশ্নে কোনো ছাড় নয়।’
