থাইল্যান্ডে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে ২৯ মার্চ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮:৫৪, ২৪ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২০:৫৯, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
আগামী বছরের ২৯ মার্চ থাইল্যান্ডে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই সম্ভাব্য তারিখের কথা জানান বলে রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন এক জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা।
প্রধানমন্ত্রী অনুতিন এর আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, জানুয়ারির শেষের দিকে সংসদ ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তার সরকারের। সেই অনুযায়ী মার্চের শেষভাগ বা এপ্রিলের শুরুতেই নির্বাচন আয়োজন করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর দফতরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা প্যারাদোর্ন প্রিসানানান্তাকুল জানিয়েছেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশন বর্তমানে ভোটগ্রহণের সময়সূচি নির্ধারণে আলোচনা করছে। তিনি বলেন,“সবচেয়ে সম্ভাব্য তারিখ ২৯ মার্চ। ওই দিন জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দেশজুড়ে গণভোটও অনুষ্ঠিত হতে পারে।”
তিনি জানান, গণভোটের একটি বিষয় হচ্ছে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা উচিত কি না, এবং অন্যটি হচ্ছে কম্বোডিয়ার সঙ্গে বিদ্যমান সীমান্ত চুক্তি বাতিল করা উচিত কি না—এই দুটি ইস্যুতে নাগরিকদের মতামত নেয়া হবে।
থাইল্যান্ডের নির্বাচন কমিশন এখনো নির্বাচনের তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেনি। তবে কমিশনের চেয়ারম্যান ইত্তিপর্ন বুনপ্রাকং জানিয়েছেন, ভোটগ্রহণের পাশাপাশি গণভোটের আয়োজন নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা চলছে। সম্ভাবনা রয়েছে—একই দিনে জাতীয় ভোট ও গণভোট উভয়ই অনুষ্ঠিত হবে।
গত জুনে কম্বোডিয়ার এক সিনিয়র নেতাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের পর জুলাইয়ের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। পরবর্তীতে ২৯ আগস্ট সাংবিধানিক আদালত তাকে স্থায়ীভাবে অপসারণের পক্ষে রায় দেয়। এরপর ৫ সেপ্টেম্বর নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ডানপন্থি ব্যবসায়ী ও ধনকুবের অনুতিন চার্নভিরাকুল, যিনি বর্তমানে থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক স্থিতি পুনর্গঠনের উদ্যোগে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
