২৩ বছর ধরে বন্দি বারঘুতি
মুক্তিতে ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন ট্রাম্প
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫:১৩, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
ফিলিস্তিনিদের কাছে ‘নেলসন মেন্ডেলা’ খ্যাত মারওয়ান বারঘুতির মুক্তির বিষয়ে ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
টাইম ম্যাগাজিনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানিয়েছেন, তার পরবর্তী ইসরায়েল সফরেই বারঘুতির মুক্তি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এই চুক্তির জন্য হামাস নয়, বরং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুই সবচেয়ে বড় বাধা ছিলেন। যুদ্ধটি বছরের পর বছর চলতে পারত, কিন্তু আমি নেতানিয়াহুকে থামিয়েছি— তারপরই সবাই একত্রিত হয়েছে।’
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে বন্দি বিনিময় হলেও বারঘুতিকে মুক্তি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল। ২৩ বছর ধরে কারাগারে বন্দি রয়েছেন ফিলিস্তিনি এই নেতা।
গত ৯ অক্টোবর ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র শোশ বেদ্রোসিয়ান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমি এই মুহূর্তে বলতে পারি— বারঘুতিকে বন্দি বিনিময়ের অংশ করা হবে না।’
১৯৫৯ সালে রামাল্লার কোবারা গ্রামে জন্ম নেওয়া বারঘুতি পশ্চিম তীরের রাজনৈতিক সংগঠন ‘ফাতাহ’র শীর্ষস্থানীয় নেতা। ২০০২ সালে তাকে গ্রেফতার করে ইসরায়েলি বাহিনী এবং ২০০৪ সালে পাঁচটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২০০০–২০০৫ সালের দ্বিতীয় ইন্তিফাদা, অর্থাৎ দ্বিতীয় ফিলিস্তিনি গণঅভ্যুত্থান সময় তিনি ছিলেন অন্যতম প্রধান নেতা।
জনমত জরিপে দেখা গেছে, ৬৬ বছর বয়সী মারওয়ান বারঘুতিকে যদি মুক্তি দেওয়া হয়, তবে তিনি ফিলিস্তিনের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রার্থী হবেন।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, মিশর ও কাতারসহ কয়েকটি মধ্যস্থতাকারী দেশ বারঘুতির মুক্তি নিশ্চিত করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং মিশরের গোয়েন্দা প্রধান মেজর জেনারেল হাসান মাহমুদ রশাদ ব্যক্তিগতভাবে মধ্যস্থতা করেছেন বলে জানা গেছে। তবে কোনো কিছুর বিনিময়েই বারঘুতিকে মুক্তি দিতে রাজি হয়নি ইসরায়েল সরকার।
সূত্র: মিডল ইস্ট আই
