কোহলি দলে থাকলে সুপারম্যানের কী দরকার
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩:১৭, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
৩৭ বছর বয়সেও তিনি ক্রিকেট বিশ্বের ‘সুপারম্যান’। ছবি: সংগৃহীত
ভারতীয় ক্রিকেটে এমন এক সময় চলছে, যখন একাই যেন খেলার রঙ বদলে দিচ্ছেন বিরাট কোহলি। পর পর দু’টি ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে আবারও প্রমাণ করলেন—৩৭ বছর বয়সেও তিনি ক্রিকেট বিশ্বের ‘সুপারম্যান’।
আর তাই তো ধারাভাষ্যকার সুনিল গাভাস্কার পর্দায় বসে উচ্ছ্বসিত হয়ে বলে ফেললেন,“দলে যদি বিরাট কোহলি থাকে, তাহলে আলাদা সুপারম্যানের আর দরকার কী!”
রাঁচিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ১২০ বলে ১৩৫ রানের টর্নেডো ইনিংস। ১১টি চার আর ৭টি ছক্কায় সাজানো সেই ইনিংস ক্রিকেটবিশ্বকে আবার মনে করিয়ে দেয় তার পুরোনো আগ্রাসন।
তারপর আজ রায়পুরে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও একই ছন্দ। মাত্র ৯০ বলে সাজানো ১০২ রানের অনবদ্য সেঞ্চুরি—যেখানে ছিল ৭টি চার ও ২টি ছক্কা।
দুই ম্যাচ মিলিয়ে কোহলির ব্যাট যেন বলছে,“আমি এখনও শেষ হয়ে যাইনি; বরং সেরা সময়টাই এখন।”
ক্যারিয়ারের আরেক মাইলফলকে কোহলি, ৫৩তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৮৪তম সেঞ্চুরি ও শচীন টেন্ডুলকারের শত সেঞ্চুরির রেকর্ড স্পর্শ করার পথে আরও এক ধাপ অগ্রগতি।
সিঙ্গেলস ঘুরিয়ে ইনিংস ধরে রাখার দারুণ ক্ষমতা—যা নিয়ে প্রশংসা করেছেন গাভাস্কারও
ধারাভাষ্য দিতে দিতে গাভাস্কার বলেন, “ওর ক্যারিয়ারের রেকর্ড দেখলেই বুঝবেন, কতবার সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক রোটেট করেছে। সিঙ্গেলস হলো ব্যাটিংয়ের প্রাণ। কোহলিকে আটকে রাখা যায় না—এটাই বোলারদের সবচেয়ে বড় ভয়।”
তিনি আরও যোগ করেন—“কোহলি শুধু নিজের রানই করেন না, সঙ্গীর জন্যও বাড়তি রান বের করে নেন। আজ রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের সঙ্গে তার জুটিই তার সেরা উদাহরণ। ৫৩তম সেঞ্চুরি—এক কথায় অবিশ্বাস্য।”
কোহলি (১০২) ও ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের (১০৫) ডাবল সেঞ্চুরি জুটিতে ভারত তোলে ৫ উইকেটে ৩৫৮ রান। ব্যাটিং লাইনআপের এই ব্যাটিং ঝড় ভারতকে স্বপ্ন দেখায় সিরিজ জয়ের।যদিও ম্যাচের ফল একসময় নাটকীয় মোড় নেয়—তবু ব্যাট হাতে কোহলির আলোয় মুগ্ধ ক্রিকেটবিশ্ব।
