নির্বাচন দেওয়ার কোনো শর্ত ছিল না: সাখাওয়াত হোসেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯:৪০, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
নির্বাচন দেওয়ার কোনো শর্ত ছিল না: সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার সময় তাদের সামনে নির্বাচন আয়োজনের কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক বছরের অর্জন ও অগ্রগতি তুলে ধরতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে উপদেষ্টা বলেন, “এখন রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরাই বুঝে উঠতে পারছে না তারা কোথায় যাবে, কী করবে। এটা নতুন কিছু নয়। অতীতে এক–এগারোর পরও এমন পরিস্থিতি হয়েছিল। আমরা বরাবরই এমন বাস্তবতার মধ্যেই চলেছি। দলগুলোর মধ্যে কথার লড়াই চলছে, আমরা কথার জাতি—কথা না বলে থাকতে পারি না।”
তিনি বলেন, “রাজনৈতিক অস্থিরতা তখনই বলা যাবে, যখন সরকার একদিকে আর রাজনৈতিক দলগুলো সম্পূর্ণ বিপরীত দিকে চলে যাবে। আমাদের কেউ কি এসে বলেছে যে, এক বছরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে? দায়িত্ব নেওয়ার সময় এমন কোনো শর্ত ছিল না। আমরা নিজেরাই বলেছি, নির্বাচন হবে। রাজনৈতিক দলগুলো সেই ঘোষণার পর সক্রিয় হয়েছে—এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, এতে সরকারের হস্তক্ষেপের কিছু নেই। তাই সংকটটা কোথায়—আমি সেটা খুঁজে দেখছি।”
নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “এটা বলা নির্বাচন কমিশনের কাজ।”
দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি হাসতে হাসতে বলেন, “আমি তো সেসব ভুলে গেছি। নির্বাচন নিয়ে এখন আমার বলার কিছু নেই। এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশনই বলতে পারবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা যেখানে গেছি, সেখানেই বলেছি—নির্বাচন সময়মতো হবে। আট আগস্ট দায়িত্ব নেওয়ার সময় কেউ আমাদের ম্যান্ডেট দেয়নি যে এক বা দেড় বছরের মধ্যে ভোট করতেই হবে। তখন সবকিছুই ছিল শূন্য অবস্থায়।”
তবে উপদেষ্টা মনে করেন, দেশের জন্য একটি নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন এবং নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্ব দেওয়া উচিত। তাঁর ভাষায়, “গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দেশে প্রতিষ্ঠিত হওয়া দরকার। গত ১৭–১৮ বছরে সেটাকে দৃঢ় হতে দেখি নাই। আমরা যদি সেটা নিশ্চিত করতে পারি, সেটাই হবে বড় সাফল্য।”
তিনি বলেন, “স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে সরকার অক্ষম—এমন কোনো কারণ নেই।”
