সিরাজগঞ্জে বিধবা খুন, অটোরিকশা চালক গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯:৩২, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২০:১১, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
অটোরিকশা চালক সোহেল রানা। ছবি: সমাজকাল
বিয়েতে রাজি না হওয়ায় সিরাজগঞ্জে বিধবা নারী মরিয়ম খাতুনকে (৪৮) শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে অটোরিকশা চালক সোহেল রানার (৩৫) বিরুদ্ধে। ঘটনার আট ঘণ্টার মধ্যে সোহেলকে গ্রেপ্তারের পর হত্যার রহস্য উদঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ।
নিহত মরিয়ম সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের নলিছাপাড়া গ্রামের হাসপাতাল এলাকার মৃত নুর ইসলামের স্ত্রী ও জাবেদ আলী শেখের মেয়ে। গ্রেপ্তার হওয়া সোহেল পাশের গুনেরগাঁতি গ্রামের মো. আসাদুল্লাহর ছেলে।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে নলিছাপাড়া গ্রামের কলাগাছ বাগানের পাশের জমির ড্রেন থেকে কলাপাতায় মোড়ানো মরিয়মের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহটি শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা নজরদারিতে সোহেলকে সনাক্তের পর ওই রাতেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সোহেলের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। তাকে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
দুপুরে সদর থানা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজরান রউফ থানা চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে জানান, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন সোহেল রানা। জানিয়েছেন, প্রায় তিন বছর ধরে মরিয়ম খাতুনের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এক পর্যায়ে মরিয়মকে বিয়ের জন্য চাপ দেন সোহেল। কিন্তু মরিয়ম বিয়েতে রাজি না হয়ে কালক্ষেপণ করেন। এর জেরে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর কাশিয়াহাটা গ্রামের একটি স্থানে দু’জনের ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে মরিয়মের গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর নিহতের মরদেহ ওই কলাবাগানের পাশের জমির ড্রেনে কলাপাতা দিয়ে মুড়িয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যান। পরদিন সকালে মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা।
