সারাদেশে বাংলালিংকের ৭দিনের ওয়াকাথন কর্মসূচির শুরু
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯:৩৫, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
বাংলালিংকের ৭দিনের ওয়াকাথন কর্মসূচির শুরু। ছবি : বাংলালিংক জনসংযোগ বিভাগ
দেশের মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংক দেশজুড়ে একযোগে ওয়াকাথন আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু করল তাদের বার্ষিক কর্মসূচি ‘সেফটি অ্যান্ড ওয়েলনেস উইক ২০২৫’। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়ায় অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে অংশ নেন ৫৬০ জনেরও বেশি কর্মী, যা প্রতিষ্ঠানটির স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও কর্মীদের সামগ্রিক সুস্থতার প্রতি অঙ্গীকারেরই প্রতিফলন।
কর্মী-কেন্দ্রিক কর্মপরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এবারের প্রতিপাদ্য রাখা হয়েছে— স্ট্রেঙ্থ ইন অ্যাকশন, কেয়ার ইন এভরি স্টেপ’।যেখানে জোর দেওয়া হয়েছে দৈনন্দিন সচেতন অভ্যাস, সহকর্মীদের প্রতি যত্নশীল মনোভাব, সহযোগিতার পরিবেশ তৈরি এবং ব্যক্তিগত সুস্থতা রক্ষায় নিয়মিত অনুশীলনের ওপর।
সপ্তাহজুড়ে কর্মীদের জন্য আয়োজন করা হয়েছে বহুমুখী কার্যক্রম—স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ব্যক্তিগত পরামর্শ, অগ্নিনিরাপত্তায় সচেতনতা বৃদ্ধি, সরাসরি নিরাপত্তা মহড়া, মননশীলতা চর্চা, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ এবং বিভিন্ন অংশগ্রহণমূলক সুস্থতা কর্মসূচি। এসব উদ্যোগই কর্মীদের মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ জীবনযাপন ও নিয়মিত স্বাস্থ্যচর্চাকে উৎসাহিত করবে।
ঢাকায় ওয়াকাথন শুরু হয় বাংলালিংকের প্রধান কার্যালয় টাইগার’স ডেন থেকে। অন্যান্য শহরেও কর্মীরা নিজ নিজ অফিস থেকে নির্ধারিত রুটে হাঁটায় অংশ নেন। ‘সদিচ্ছা ও সচেতনতার ছোট পদক্ষেপেই সুস্থতার বড় পরিবর্তন আসে’—এ বার্তা সামনে রেখে আজকের ওয়াকাথনে হাঁটেন বাংলালিংক কর্মীরা।
টাইগার’স ডেনে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী ইওহান বুসে এবং প্রতিষ্ঠানটির লিডারশিপ টিমের সদস্যরা। তাদের উপস্থিতি নিরাপদ, যত্নশীল ও সহায়ক কর্মপরিবেশ গঠনে বাংলালিংকের প্রতিশ্রুতিকে আরও শক্তিশালী করেছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলালিংকের প্রধান মানবসম্পদ ও প্রশাসন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রুহুল কাদের বলেন,“ওয়াকাথনের মাধ্যমে এ সপ্তাহটি অর্থবহভাবে শুরু হলো। সুরক্ষা ও সুস্থতা কোনো সাময়িক বিষয় নয়; বরং এটি দৈনন্দিন অভ্যাসে রূপ নেওয়ার মতো এক মানসিকতার পরিবর্তন। কর্মীদের সুস্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত হলে প্রতিষ্ঠানও আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।”
শুধু কর্মীদের নয়, গ্রাহকদের সুরক্ষা ও সুস্থতার প্রতিও অঙ্গীকারবদ্ধ বাংলালিংক। সম্প্রতি ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর গ্রাহকরা যেন জরুরি মুহূর্তে প্রিয়জনদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, সেই লক্ষ্যেই প্রতিষ্ঠানটি তাৎক্ষণিকভাবে দুই ঘণ্টার ফ্রি কলিং সুবিধা ঘোষণা করেছিল।
