মুশফিক দেশের আইকন,সাক্ষাৎকারে খালেদ মাসুদ
স্পোটস ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩:০৩, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ তারকা ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। ছবি: সংগৃহিত
বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে এক স্মরণীয় অধ্যায় লিখতে যাচ্ছেন মুশফিকুর রহিম। দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে দেশের ক্রিকেটকে নিবেদন করা এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার এখন অপেক্ষায় তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ মাইলফলক—১০০তম টেস্টের। এই অর্জনকে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং দেশের ক্রিকেট সংস্কৃতির অমূল্য সম্পদ হিসেবে দেখছেন সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবি পরিচালক খালেদ মাসুদ পাইলট।
পাইলট মনে করেন, মুশফিকের এই অর্জন শুধু উদযাপনের নয়—এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। তার ভাষায়, `মুশফিককে ১০০ টেস্ট খেলতে দেখে এখন যাদের ৫০ বা ৬০ টেস্ট হয়েছে, তারা অবশ্যই চাইবে তার মতো দীর্ঘ যাত্রা করতে। নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, তানজিদ তামিম কিংবা পারভেজ ইমনদের মতো ছেলেরা এই পথ অনুসরণ করতে উৎসাহিত হবে।‘
তিনি আরও বলেন, এমন সাফল্য কোনো একদিনে গড়ে ওঠে না। ১০০ টেস্ট মানে অবিচল পরিশ্রম, কঠোর শৃঙ্খলা, নির্দিষ্ট রুটিন এবং জীবনযাপনের কঠোরতম নিয়মানুবর্তিতা। `মুশফিকের মতো হতে হলে সেভাবেই এগোতে হবে। সে নিজের জীবনকে সিস্টেমে বেঁধেছে—খাওয়া-দাওয়া, ফিটনেস, অনুশীলন, ঘুম—সবকিছুই একটি পরিকল্পিত ছকে। তাকে অনুসরণ করলে তরুণরা অনেক দূর যেতে পারবে,’ মন্তব্য পাইলটের।
মুশফিককে দেশে ক্রিকেটের প্রকৃত আইকন এবং নিবেদিতপ্রাণ চরিত্র হিসেবে আখ্যা দিয়ে পাইলট বলেন, `বাংলাদেশের ক্রিকেটে হাই-কোয়ালিটি ট্যালেন্ট খুব বেশি নেই। মুশফিক সেই বিরল মানের ক্রিকেটার—মেধা, অধ্যবসায়, মনোযোগ, অনুশীলনে শতভাগ নিবেদন—সবদিক থেকেই তিনি সর্বোচ্চ মানদণ্ডের।‘
পাইলটের প্রত্যাশা, শততম টেস্টটি শুধু মাইলফলক নয়, বরং একটি স্মরণীয় ইনিংসে পরিণত হোক। `আমি চাই মুশফিক তার ১০০তম টেস্টটি এমন একটি দীর্ঘ, নান্দনিক ও স্মরণীয় ইনিংস দিয়ে সাজান, যা ভবিষ্যতে উদাহরণ হয়ে থাকবে।‘
তবে ভবিষ্যত নিয়েও তার আলাদা প্রত্যাশা রয়েছে। মাঠের ক্রিকেটকে বিদায় বলার পর মুশফিক যেন ক্রিকেট ছাড়ে না—এই পরামর্শও রাখলেন তিনি। `তার মতো নিবেদিতপ্রাণ ক্রিকেট মানুষ যদি বিসিবি বা ক্রিকেট ব্যবস্থাপনায় যুক্ত থাকে, তাহলে দেশের ক্রিকেটেরই উন্নতি হবে।‘
