তিন ম্যাচে ২৬ গোল ,পাকিস্তানের সামনে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশের
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩:৩৭, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
আফসোসে মোড়া আরেকটি সিরিজ। বিশ্বকাপ হকির বাছাই প্লে–অফে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ। তিন ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে বাংলার লাল-সবুজ হজম করেছে ২৬ গোল—হারের শুরু যেমন ছিল, শেষটাও তেমনই বেদনাদায়ক।
রবিবার মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ১০–৩ ব্যবধানে হার মানে স্বাগতিকরা। প্রথম ম্যাচে ৮–২, দ্বিতীয় ম্যাচে ৮–০—সব মিলিয়ে প্রতিটি ম্যাচই ভেঙে পড়েছে বাংলাদেশ।
পুরো ম্যাচেই পাকিস্তান ছিল নিয়ন্ত্রণে। যত সময় গড়িয়েছে, ততই শানিত হয়েছে অতিথিরা। সেই তুলনায় বাংলাদেশ ছিল ছন্নছাড়া—আক্রমণ কিংবা রক্ষণ, কোথাও প্রতিদ্বন্দ্বিতা চোখে পড়েনি।
একসময় পুরস্কার খিসা মিমো, হাসান যুবায়ের নিলয়দের দুর্দান্ত কানেক্টে গোল হতো নিয়মিত। কিন্তু কাল সেই পরিচিত ছন্দের ছিটেফোঁটাও ছিল না। ৬, ১৩, ২৪, ৪৪ ও ৫৯ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন রাকিবুল, আবদুল্লাহ, সবুজ ও ওবায়দুল জয়।
১৫ মিনিটে তো পোস্ট ফাঁকা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন সোহানুর সবুজ। এমন ভুলের মাশুল দিতে হয়েছে বড় ব্যবধানেই।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা এসেছে পেনাল্টি কর্নার ডিফেন্সে। পাকিস্তান পেয়েছে ১৫টি পিসি, যার ৯টিই গোল।
এখানেই ভেঙে পড়েছে রেজাউল করিম বাবুর দল।
সুফিয়ান একাই করেছেন ৬ গোল, আবদুর রহমান করেছেন ২টি, নাদিম আহমেদ ১টি। ফিল্ড গোল এসেছে রানা ওয়ালিদের স্টিকে।
বাংলাদেশের ৩ গোলের দুটি এসেছে ফিল্ড গোল থেকে।
আর একটি এসেছে পেনাল্টি কর্নার থেকে—টুর্নামেন্টজুড়ে নিষ্প্রভ থাকা আশরাফুল ইসলাম অবশেষে একটি পিসি গোল করতে সক্ষম হন।
সিরিজ শেষে হতাশ রাকিবুল হাসান বলেন,“আমরা চেষ্টা করছিলাম ভালো হকি খেলতে। কিন্তু কিছু ভুলে অনেক গোল হজম করেছি। সামনে যে টুর্নামেন্ট আছে, সেখানে সুযোগ পেলে আরও ভালো করতে চেষ্টা করব।”
তিনি আরও যোগ করেন,“আমাদের সমস্যা হলো ম্যাচের চাপ ধরে রাখতে পারি না। এগিয়ে থাকলেও শেষ দিকে গোল হজম করি। এটা কাটিয়ে উঠতে হবে।”
