হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ বলল সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭:৪৩, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
ছবি: ফাইলফটো
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সেইসঙ্গে উত্তেজনাপ্রসূত আচরণ ও সহিংসতা না ঘটিয়ে শান্ত থাকারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ২ টা ৫০ মিনিটে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের বাকি সদস্যরা হলেন— বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বর্তমানে দু’জনই পলাতক রয়েছেন। রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। সেই বিবৃতিতে এই রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ বলা হয়।
বিবৃতিটি হলো-
`মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে ঘোষিত মৃত্যুদণ্ড একটি ঐতিহাসিক রায়। এই রায়ের গভীর তাৎপর্য উপলব্ধি করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সর্বস্তরের জনগণকে শান্ত, সংযত ও দায়িত্বশীল থাকার আহ্বান জানাচ্ছে।‘
`রায়-পরবর্তী সময়ে কোনো ধরনের উচ্ছৃঙ্খলতা, উত্তেজনাপ্রসূত আচরণ, সহিংসতা বা আইনবিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে বিশেষ অনুরোধ জানানো হচ্ছে। জনগণের, বিশেষ করে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্বজনদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত এই রায়কে ঘিরে জনমনে স্বাভাবিকভাবেই আবেগ সৃষ্টি হতে পারে। তবে সেই আবেগের বশবর্তী হয়ে যেন কেউ জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে এমন কোনো পদক্ষেপ না নেয়—সরকার এ বিষয়ে দৃঢ়ভাবে সবাইকে সতর্ক করছে।‘
`সরকার আরও স্পষ্ট করে জানাচ্ছে, যে কোনো ধরনের অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা বা জনশৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা কঠোরভাবে দমন করা হবে।‘
