ডেনমার্কের সঙ্গে বড় চুক্তি;
চট্টগ্রামের লালদিয়া চরে অত্যাধুনিক টার্মিনাল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০:২৫, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
ডেনমার্কভিত্তিক এপিএম টার্মিনালসের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ। ছবি: পিআইডি
বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর খাতে বড় এক অগ্রগতির সূচনা হলো সোমবার। রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া চরে নতুন একটি আন্তর্জাতিকমানের টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনায় ডেনমার্কের মালিকানাধীন এপিএম টার্মিনালস–এর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ সরকার।
অনুষ্ঠানে দুই পক্ষের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে চুক্তিতে সই করেন—এপিএম টার্মিনালসের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টেইন ভ্যান ডোঙ্গেন,চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল সৈয়দ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।
ডেনমার্কের পক্ষে ছিলেন আইবিএস এপিএম টার্মিনালসের হেড অব ইনভেস্টমেন্ট ভাস্কর সেনগুপ্ত, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টেট সেক্রেটারি লিনা গান্ডলোসে হ্যানসেন ও রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস মোলার। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, পিপিপি কর্তৃপক্ষের সিইও আশিক চৌধুরী, নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন ও নৌপরিবহন সচিব নুরুন্নাহার চৌধুরী।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোক্কে রাসমুসেন বলেন—“বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই আমাদের সম্পর্ক শক্তিশালী। এখন উন্নয়ন সহযোগিতা থেকে সম্পর্ক এগিয়ে ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বে পৌঁছেছে। লালদিয়া প্রকল্প বাংলাদেশের বন্দর অবকাঠামো উন্নয়নে নতুন মাইলফলক।”
তিনি জানান, মাথাপিছু হিসেবে ডেনমার্ক বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রফতানি বাজার।
পরিবহন কোম্পানি মেয়ার্স্কের চেয়ারম্যান রবার্ট মেয়ার্স্ক উগলা বলেন—“লালদিয়া টার্মিনাল হবে সম্পূর্ণ গ্রিনফিল্ড, যেখানে অটোমেশন, নিরাপত্তা ও স্থায়িত্বে সর্বোচ্চ মান বজায় রাখা হবে। এটি বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে এবং লজিস্টিকস খাতে নতুন যুগের সূচনা করবে।”
নৌ পরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন—“এই চুক্তি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের একটি বড় সাফল্য। যারা সন্দেহ করছিলেন, তারা আজ বাস্তবতা দেখলেন। মোংলা বন্দরেও বিদেশি বিনিয়োগ দ্রুত আসবে।”
পিপিপি কর্তৃপক্ষের সিইও আশিক চৌধুরী বলেন—“লালদিয়া প্রকল্প দেখিয়ে দিল—পিপিপি শুধু তত্ত্ব নয়, বাস্তবেও কার্যকর। আমাদের ভবিষ্যতের লক্ষ্য—বাস্তবায়ন-কেন্দ্রিক অবকাঠামো উন্নয়ন।”
তিনি আরও জানান, আগামী কয়েক বছরে চারটি নতুন সমুদ্রবন্দর বাস্তবায়নের কাজ চলছে, যার মধ্যে আছে—একটি গভীর সমুদ্রবন্দর,একটি আন্তর্জাতিক টার্মিনাল,একটি মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল (ফ্রি ট্রেড জোন)।
