ট্রাইব্যুনালের রায় ‘প্রশ্নবিদ্ধ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার পরিচায়ক : জাসদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯:৫৩, ১৭ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৯:৫৬, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
ঐতিহাসিক রায়কে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিবৃতি দিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদ / ফাইল ছবি
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১-এর ঐতিহাসিক রায়কে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত। সেই প্রেক্ষাপটে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে বিবৃতি দিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদ।
দলটির কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটি সোমবার (১৭ নভেম্বর) এক লিখিত বিবৃতিতে রায়টিকে “প্রশ্নবিদ্ধ ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার পদক্ষেপ” বলে উল্লেখ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অনুপস্থিত অবস্থায় অভিযুক্তদের আত্মপক্ষ সমর্থনের পূর্ণ সুযোগ না দিয়ে, অসাংবিধানিক সরকারের অধীনে গঠিত একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল থেকে যেভাবে রায় দেওয়া হলো—তা ন্যায়বিচারের মানদণ্ড পূরণ করে না। জাসদ মনে করে, “একপাক্ষিক ও একচেটিয়া প্রক্রিয়ায় সাজানো মামলার এই রায় বর্তমান সময়েই নয়, ভবিষ্যতের ইতিহাসেও কলঙ্ক হিসেবে চিহ্নিত হবে।”
দলটি অভিযোগ করেছে যে জনগণের সার্বভৌমত্ব ও সংসদীয় কর্তৃত্বকে অস্বীকার করে অধ্যাদেশ–নির্ভর সংশোধিত আইনের আওতায় বিচার পরিচালনা স্বচ্ছতা হারায়, এবং এটি ন্যায়বিচারের মৌল নীতির পরিপন্থী।
জাসদ জানায়, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যবহার করার যে প্রবণতা সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাগুলোতে স্পষ্ট, এই রায় তারই ধারাবাহিকতা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা ন্যায়বিচারবহির্ভূত, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত যেকোনো বিচারিক প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে। এই রায় বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক চেতনা ও আইনের শাসনের পথে বিভ্রান্তিকর দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।”
একই সঙ্গে দলটি মনে করে, বিচারব্যবস্থাকে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার হাতিয়ার বানালে রাষ্ট্রক্রমের প্রতি জনগণের আস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ন্যায়বিচারের মূল্যবোধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠান দলের দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন।
