শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ডে কষ্ট পেয়েছেন আইনজীবী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭:০৯, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। তাদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন জানিয়েছেন, রায় ঘোষণায় তিনি কষ্ট অনুভব করছেন।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "আমার ক্লায়েন্টদের বিরুদ্ধে রায় ভিন্নভাবে হলেও হতে পারতো। কিন্তু হয়নি। এটা আমার বিপক্ষে গেছে। আপিলের কোনো সুযোগ নেই যতক্ষণ পর্যন্ত তারা আত্মসমর্পণ বা গ্রেপ্তার না হন।"
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিচারিক প্যানেল রায় পাঠ শুরু করে। প্রথমে ৪৫৩ পৃষ্ঠার সংক্ষিপ্ত রায়ের প্রথম অংশ পড়েন বিচারিক প্যানেলের সদস্য মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। এরপর বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং সর্বশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার রায় ঘোষণা করেন।
দুই ঘণ্টা ১০ মিনিটের সংক্ষিপ্ত রায় পাঠের শেষে দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে রায় ঘোষণা করা হয়। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ-১ এবং অভিযোগ-২ অনুসারে, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে বিভিন্ন হত্যাকাণ্ড ও উসকানি, মারণাস্ত্র ব্যবহারের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
রাজসাক্ষী হয়ে জবানবন্দি দেওয়া মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল তার সত্যনিষ্ঠা বিবেচনা করে নমনীয়তা দেখিয়েছে।
রায়ের আগে, মামলায় মোট ২৮ কার্যদিবসে ৫৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। প্রসিকিউশন-স্টেট ডিফেন্সের যুক্তিতর্ক শেষ হয় ৯ কার্যদিনে। ২৩ অক্টোবর রাষ্ট্রের প্রধান আইনকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের সমাপনী বক্তব্যের পর রায়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
মামলায় তিন আসামির বিরুদ্ধে পাঁচটি মানবতাবিরোধী অভিযোগ আনা হয়। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট ৮,৭৪৭ পৃষ্ঠার, যার মধ্যে তথ্যসূত্র, দালিলিক প্রমাণ এবং শহীদদের তালিকা অন্তর্ভুক্ত। সাক্ষী করা হয়েছে ৮৪ জনকে।
