গ্রেপ্তারের দিন থেকেই হাসিনা-কামালের সাজা কার্যকর: অ্যাটর্নি জেনারেল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫:৫৪, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন দিয়েছেন আদালত। দুটি অপরাধে তাকে মৃত্যুদণ্ড ও একটিতে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
একই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ২ টা ৫০ মিনিটে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের বাকি সদস্যরা হলেন— বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
ট্রাইব্যুনাল বলেছে, শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।
পলাতক হাসিনা ও কামালের সাজা কখন থেকে কার্যকর সে বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যে সাজা দিয়েছে সেটি আসামিরা যেদিন গ্রেপ্তার হবে সেদিন থেকে কার্যকর হবে।
আদালতে রায় ঘোষণার পর প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, মামলায় দুজন আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর একজন রাজস্বাক্ষী হওয়ায় সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
তিনি জানান, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে থাকা পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে তিনটিতে সাজা দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার মামলায় যুগান্তরকারী রায় হয়েছে, যা প্রশান্তি আনবে ও বাংলাদেশে ন্যায়বিচার ও আইনের শাসনের জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে।
অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, ‘সরকার শেখ হাসিনাকে ফেরাতে যত ধরনের পদক্ষেপ আছে তা নেবেন বলে আশা করি।’
এই মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়া বাকি দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সাবেক আইজিপি মামুন এই মামলার একমাত্র গ্রেফতার আসামি। তিনি এই মামলায় অ্যাপ্রুভার বা রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।
আসাদুজ্জামান কামালও হাসিনার মতো পলাতক।
রায় ঘোষণার পর জুলাইর ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবার এবং জুলাই যোদ্ধারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তারা আদালতেই স্লোগান দিয়ে উঠেন। পরে অ্যাটনি জেনারেল সবাই শান্ত হতে বলেন।
